ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনভর বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই মিটল ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হল পাথর। জ্বলল বাস। বুথের নিরাপত্তাকর্মীদের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে হামলা চালাল গ্রামবাসীদের একাংশ। পালটা গুলিতে খতম এক হামলাকারীও। জখম আরও দুই। পাথরের আঘাতে ঘায়েল হল বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও। অশান্তির মধ্যেও দিনভর বুথে-বুথে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিকেল তিনটে পর্যন্ত ভোটদানের হার ছিল ৫৮.৮২ শতাংশ।
শনিবার ঝাড়খণ্ডের ২০টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হয়। এর মধ্যে ১৮টি আসনে সকাল সাতটা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। কেবলমাত্র জামশেদপুর পূর্ব ও পশ্চিম কেন্দ্রে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। বেশকিছু ভোটগ্রহণ কেন্দ্র মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় হওয়ায় বুথের বাইরে প্রচুর সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। তারপরেও বিক্ষিপ্ত অশান্তি এড়ানো যায়নি।
সিসাই বিধানসভা কেন্দ্রের অর্ন্তগত গুমলা জেলায় বাঁধনি গ্রামে ৩৬ নম্বর বুথের বাইরে সবচেয়ে বড় অশান্তির ঘটনাটি ঘটে। আচমকাই একদল গ্রামবাসী বুথের নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা কর্মীদের উপর চড়াও হয়। তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। পাথরের ঘায়ে জখম হন সাংবাদিক-সহ আটজন। এরপরই পুলিশ কর্মীদের হাত থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে হামলাকারীরা। পাল্টা গুলি চালাচে তিনজন গ্রামবাসী জখম হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়।ফলে এই বুথে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আরেকটি গ্রামের বাইরে ফাঁকা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় মাওবাদিরা।
এদিকে জামশেদপুর পূর্ব কেন্দ্রে রাজনৈতিক লড়াই ছিল চোখে পড়ার মতো। এই কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে লড়াই করছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। তাঁর বিপক্ষে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করছেন রঘুবর দাসের মন্ত্রীসভারই সদস্য সরযূ রায়। এই কেন্দ্রে দু্পক্ষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ভোট ঘোষণার পরই বিজেপি হাত ছেড়েছে তার শরিকরা। ফলে এই নির্বাচন যে রঘুবর দাসের জন্য বেশ কঠিন হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ঝাড়খণ্ডে পরের তিনদফা নির্বাচন আগামী ১২, ১৬ ও ২০ ডিসেম্বর। ফল ঘোষণা ২৩ ডিসেম্বর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.