Advertisement
Advertisement

Breaking News

Pahalgam Terror Attack

পহেলগাঁওয়ের ধাঁচে আরও হামলার ছক! কাশ্মীরে ঘাঁটি ৫৬ বিদেশি জঙ্গির, গোয়েন্দা রিপোর্টে উদ্বেগ

পহেলগাঁও হামলায় প্রকাশ্যে পাক যোগ।

Pahalgam Terror Attack: Intel reports 56 foreign terrorists active in Kashmir

ফাইল ছবি

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:April 23, 2025 2:43 pm
  • Updated:April 23, 2025 6:26 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) নারকীয় জঙ্গি হামলায় (Terror Attack) ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ২৬ জন পর্যটকের। হত্যার নেপথ্যে উঠে আসেছে পাক যোগের তত্ত্ব। তবে বিপদ এখনও কাটেনি। গোয়েন্দা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে নিরাপত্তাবাহিনীর রেকর্ড বলছে, জম্মু ও কাশ্মীরে এখনও ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে ৫৬ জন বিদেশি জঙ্গি। আরও স্পষ্টভাবে বললে পাক জঙ্গি। যার মধ্যে বেশিরভাগই লস্কর-ই-তইবার সদস্য।

নিরাপত্তা বাহিনীর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মুহূর্তে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে ৫৬ জন বিদেশি জঙ্গি। যাদের মধ্যে ৩৫ জনই লস্কর-ই-তইবার। এছাড়া জইশ-ই-মহম্মদের ১৮ জন, হিজবুল মুজাহিদিনের ৩ জন। এরা সকলেই পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ করে উপত্যকায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। এদের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় জঙ্গি রয়েছে ১৭ জন। অর্থাৎ উপত্যকার স্থানীয় সন্ত্রাসীর তুলনায় বিদেশি জঙ্গির পরিমাণ অনেক বেশি। এই ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগের বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখ্য, পুলওয়ামার পর জম্মু ও কাশ্মীরের মাটিতে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে গত মঙ্গলবার। বিকেলে পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) এক রিসর্টে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা (Terror Attack)। দাবি করা হচ্ছিল, পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয় দেখে বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্করের শাখা সংগঠন টিআরএফ বা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। জানা যাচ্ছে, এই হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকা জঙ্গিদের বেশিরভাগই পাকিস্তানি। সূত্রের খবর, নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে আসা নির্দেশ বাস্তবায়িত করতে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল জঙ্গিরা।

এ প্রসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন ডিজিপি এসপি বৈদ্য বলেন, “স্থানীয় জঙ্গিরা সাধারণত পর্যটকদের টার্গেট করে না। তাদের প্রথম টার্গেট লিস্টে থাকে সেনাবাহিনী। কারণ তারা জানে পর্যটকদের নিশানা করলে কাশ্মীরের রুজি-রুটি, পর্যটন শিল্প প্রভাবিত হবে। এই হামলা পুরোপুরি পাকিস্তানে বসে থাকা হ্যান্ডেলারদের ষড়যন্ত্র। টিআরএফ একটি নাম মাত্র। গোটা পরিকল্পনার মাথা হল লস্কর ও পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।” বৈদ্য আরও বলেন, “এই হামলা স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে পাকিস্তান চাইছে জম্মু ও কাশ্মীরের ভাবমূর্তি নষ্ট হোক এবং পর্যটন বন্ধ হোক। তাই পর্যটকদের উপর হামলা চালানো হয়েছে উপত্যকার অর্থনীতির মেরুদণ্ডে হামলা চালানো হয়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub