সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়ন্ত্রণ রেখায় এবছর এখনও পর্যন্ত মোট ৫৫ জন নিরাপত্তাকর্মী ও সাধারণ মানুষ শহিদ হয়েছেন। এই নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে যেমন রয়েছেন জওয়ানরা, তেমনই রয়েছেন পুলিশকর্মীরাও। সোমবার রাজ্যসভায় এই তথ্য প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার। পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন বছরের তুলনায় এ বছর সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিরক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সুভাষ ভামরে এই তথ্য সংসদের উচ্চকক্ষে পেশ করেছেন। জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তে ২০১৮ সালেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ২০১৭ সালে মোট ৩১ জন নিরাপত্তাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৬ সালে এই মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৬। সরকারের তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর এই মৃত্যুর পরিমাণ সর্বোচ্চ। মোট ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাধারণ মানুষের সংখ্যা ২৮। ২০১৭ সালে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১২। ২০১৬ সালে ছিল ১৩।
[ সুরক্ষার তাগিদ, দূরপাল্লার ট্রেনে গোলাপি হচ্ছে মহিলা কামরা ]
তিনি জানিয়েছেন, এবছর ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৪৩২ বার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। তার মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখাতেই ৯৪২ বার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন হয়েছে। যখন ভারত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে, তা পর থেকেই চুক্তিভঙ্গের প্রবণতা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আগে, ২০১৭ সালে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে মোট ৯৭১ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। তার মধ্যে ৮৬০ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ রেখায়।
পাকিস্তানের এই বারবার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন নিয়ে মুখ খুলেছে ভারতীয় সেনাও। সেনার প্রাক্তন কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল বি এস জয়সওয়াল জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় সেনা অতিমাত্রায় সচেতন রয়েছে। নিরাপত্তার দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তান থেকে হামলা হলেই তার যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। “আমি নিশ্চিত ভারতের থেকে পাকিস্তানের দিকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি।” বক্তব্য প্রাক্তন সেনাকর্তার।
[ ‘বাঙালি খেদাও’ রুখতে পদক্ষেপ মমতার, আজ বৈঠক রাজনাথের সঙ্গে ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.