সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : পুলিশকে ঘুষ দিলে হয়তো কাজটা হবে। কোথাও কি এই দৃশ্য দেখেছিল পাঁচ বছরের একরত্তি মেয়েটা? নয়তো নিজের মায়ের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়ার ভাবনা, কোথা থেকে এল তার মাথায়? ভাবলে সত্যিই অবাক হতে হয়।
পারিবারিক বিবাদে বাচ্চাটির মা আত্মহত্যা করেছিল। পরিবারের অভিযোগ ছিল খুন করা হয়েছিল তার মাকে। সেই টানাপোড়েনই হয়তো মিরাটের পাঁচ বছরের এই শিশুকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে দিয়েছিল পরবর্তী লড়াইয়ের জন্য। তখনই হয়তো নিজের সামনের রাস্তা তৈরি করে নিয়েছিল সে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হোক খুব তাড়াতাড়ি, এই দাবি নিয়ে সোজা মিরাটের আইজি রাম কুমারের সঙ্গে দেখা করে মানবী নামে এই বাচ্চাটি। সঙ্গে ছিল নিজের জমানো টাকা। তার প্রিয় পিগি ব্যাঙ্ক থেকেই সেই টাকা সে তুলে দিল আইজি-র হাতে। কেন বলুন তো? ঘুষ দেওয়ার জন্য।
মানবীর মা সীমা কৌশিক চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আত্মহত্যা করেন। পরিবারের দাবি ছিল আত্মহত্যা নয়, পণের জন্য অকথ্য অত্যাচার চলত সীমার ওপর। তাঁকে খুন করা হয়েছে।
মৃতার পরিবারের তরফে বারবার অভিযোগ করা হলেও, পুলিশের তরফ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। আর কোনও উপায় ছিল না সীমার পরিবারের সামনে। সীমার মেয়ে মানবীকে নিয়ে তার দাদু ও মামা চলে আসেন সোজা আইজির দপ্তরে। তবে ওইটুকু মেয়ের মাথায় ঘুষ দেওয়ার ভাবনা এল কোথা থেকে, প্রশ্নটা ঘুরছে মিরাটের পুলিশ মহলের অন্দরেও।
প্রশ্নটা করাও হয়েছিল মানবীকে। জবাব কি এসেছিল জানেন? সবাই বলে টাকা ছাড়া কিচ্ছু হবে না। তাই ছোট্ট পিগি ব্যাঙ্কের সঞ্চয় নিয়েই এসেছিল সে। হয়তো কোথাও তার মনে হয়েছিল এই সঞ্চয়ই তার মায়ের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে অনুঘটকের কাজ করবে।
তবে স্বাভাবিকভাবেই আইজি নেননি সেই টাকা। ফিরিয়ে দিয়েছেন মানবীর আমানত। আর নির্দেশ দিয়েছেন মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.