সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুটো সপ্তাহও কাটেনি। তার মধ্যেই তামিলনাড়ুর স্মৃতি ফিরল হরিয়ানায়। বিফলে গেল দীর্ঘ আঠারো ঘণ্টা ধরে উদ্ধারের চেষ্টা। ৫০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল পাঁচ বছরের শিশুর।
ঘটনা হরিয়ানার কার্নাল জেলার হরসিংপুরা গ্রামের। সোমবার পুলিশ জানায়, রবিবার ঘারাউন্দা এলাকায় মাঠে খেলা করছিল বছর পাঁচেকের শিশুকন্যাটি। হঠাৎই পা হরকে সে পড়ে যায় সংকীর্ণ গভীর কুয়োয়। তারই পরিবারের কুয়ো সেটি। এদিকে মেয়ে বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে পরিবার। আশেপাশের এলাকায় খোঁজ শুরু করেন বাড়ির লোকেরা। তখনই সন্দেহ হয়, কুয়োতেও পড়ে গিয়ে থাকতে পারে সে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়। সময় নষ্ট না করে মেয়ের নিরুদ্দেশ হওয়ার খবর পুলিশকে জানান পরিবারের লোকেরা। খবর দেওয়া হয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও (এডিআরএফ)। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। ঘারাউন্দা থানার ইন্সপেক্টর শচীন বলছেন, “দীর্ঘ আঠারো ঘণ্টার অপেক্ষা শেষে তাকে কুয়ো থেকে তুলে আনা সম্ভব হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কার্নালের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।”
উদ্ধারের সময় কুয়োর ভিতর অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। সেই সঙ্গে একটি ক্যামেরা ব্যবহার করে শিশুটির পায়ের ছাপ ধরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন উদ্ধারকারীরা। এমনকী শিশুর বাবা-মায়ের গলায় রেকর্ড করে কথাও চালান তাঁরা। যাতে গভীর অন্ধকারেও সে ভয় না পায়। কিন্তু এসব সত্ত্বেও শিশুর গলা পাওয়া যায়নি। সংকীর্ণ কুয়োর মধ্যেই হয়তো ততক্ষণে শ্বাসরুদ্ধ হয়েছিল তার।
#UPDATE Haryana: The 5-year-old girl who had fallen into a 50-feet deep borewell in Hari Singh Pura village of Karnal, has died. https://t.co/KWEgAHAVad
— ANI (@ANI) November 4, 2019
গত ২৫ অক্টোবর তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লিতে বাড়ির সামনেই খেলা করার সময় হঠাৎই অসাবধানতায় গভীর কূপে পড়ে যায় বছর দুয়েকের সুজিত উইলসন। কেউ আশপাশে না থাকায় প্রথমে ব্যাপারটা কারও নজরেই আসেনি। টনক নড়তেই খবর দেওয়া হয় পুলিশ এবং এনডিআরএফকে। কিন্তু কোনও চেষ্টা, কোনও প্রার্থনাই কাজে আসেনি। ৮০ ঘণ্টার চেষ্টায় তার দেহ কূপ থেকে উদ্ধার করা গিয়েছিল। এবার একই পরিণতি হল হরিয়ানার শিশুর। তার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার।
Deeply saddened to know that 5yr old Shivani,who had fallen into a borewell in Gharaunda,has passed away. Though she was rescued by @NDRFHQ & district teams
— Manohar Lal (@mlkhattar) November 4, 2019
& rushed to the hospital,she is very unfortunately no longer with us.
My prayers are with her family in this time of need.
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.