Advertisement
Advertisement

খুনের পর ‘দৃশ্যম’ ছবির কায়দায় দেহ লোপাট, গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা-সহ ৫

কীভাবে দেহ লোপাট করেছিল অভিযুক্তরা?

5 men watched film before murder
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 13, 2019 4:30 pm
  • Updated:January 13, 2019 4:30 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অজয় দেবগণ অভিনীত ‘দৃশ্যম’ ছবিটি দেখেছেন? মনে আছে কীভাবে আইজির ছেলেকে খুন করার পরেও স্ত্রীকে বাঁচিয়েছিলেন নায়ক? যুবকের দেহ, গাড়ি লোপাট করে দেন অজয়৷ ছেলেকে খুন করা হয়েছে বুঝতে পেরেও স্রেফ প্রমাণের অভাবে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি দুঁদে পুলিশ আধিকারিক৷ সেলুলয়েডের এই কাহিনি দেখে হাড়হিম হয়ে গিয়েছিল অনেকের৷ এ তো নয় গেল ছবির কথা৷ কিন্তু বাস্তবেও খুন করে ‘দৃশ্যম’-এর মতো দেহ লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করল পাঁচ যুবক৷ যদিও তাতে শেষরক্ষা হয়নি৷ শ্রীঘরেই ঠাঁই হয়েছে অভিযুক্তদের৷ 

[ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহারে ‘না’, নির্যাতিতাকে জোর করে বিষ খাওয়াল অভিযুক্তরা]

ঘটনাটি ২০১৬ সালের অক্টোবরের। টুইঙ্কল ডাগরে নামে ২২ বছরের এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা জগদীশ করোটিয়ার। এই সম্পর্কের পরিণতি নিয়েই জগদীশকে চাপ দিচ্ছিলেন টুইঙ্কল। কিন্তু বিয়ের ব্যাপারে মত ছিল না জগদীশের৷ আর তাই টুইঙ্কলকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি নেতা৷ এই কাজে ওই বিজেপি নেতাকে সহায়তা করে তার তিন ছেলে অজয়, বিজয়, বিনয়৷ এছাড়া তাদের পরিচিত নীলেশ কাশ্যপ নামে এক যুবক। ১৬ অক্টোবর ওই পাঁচজন টুইঙ্কলকে খুন করে৷ প্রমাণ লোপাটের জন্য টুইঙ্কলের দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়৷ এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করে৷ তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে জগদীশ ও তার ছেলেরা। তদন্ত চলাকালীন একদিন অভিযুক্তরা জানায়, নিজেদের বাড়ির বাগানে দুর্গন্ধ পাচ্ছে তারা৷ পুলিশ মাটি খুঁড়ে একটি কুকুরের দেহ উদ্ধার করে৷ এই ঘটনার পরই ‘দৃশ্যম’ ছবিতেও দেখানো সেই দৃশ্যের কথা মনে পড়ে যায় তদন্তকারীদের৷ বিজেপি নেতা-সহ পাঁচজনের উপর সন্দেহ আরও বাড়তে থাকে পুলিশের৷ তাই ওই পাঁচজনকে গুজরাটের এক ল্যাবরেটরিতে ‘ব্রেইন ইলেকট্রিক্যাল অসিলেশন সিগনেচার’ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এই পরীক্ষায় বোঝা যায় তারা প্রত্যেকেই মিথ্যে কথা বলছে৷ এরপরই পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে পাঁচজন৷ তারা স্বীকার করে টুইঙ্কলকে খুন করে ‘দৃশ্যম’ ছবিটি দেখে তারা৷ এরপর ওই আদলেই দেহ লুকিয়ে রাখা হয়েছে৷ এই ঘটনার দায় ঝেড়ে ফেলতেই পুলিশ তারা বিভ্রান্ত করেছে বলেও জেরায় স্বীকার করে পাঁচ অভিযুক্ত৷

Advertisement

[উপত্যকায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, নিকেশ ২ জেহাদি]

জগদীশ ও তার ছেলেদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আসলে যেখানে টুইঙ্কলকে পুড়িয়ে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল, সেখানে যায় পুলিশ। টুইঙ্কলের দেহের কঙ্কাল উদ্ধার হয়৷ এছাড়াও তাঁর ব্যবহৃত গয়না ও ঘড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। খুনের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। আপাতত তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এরপরই পুলিশ বিজেপি নেতা জগদীশ করোটিয়া এবং তার তিন ছেলে অজয়, বিজয়, বিনয় ও তাদের পরিচিত নীলেশ কাশ্যপকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement