সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশ দুই প্রকার। এক) সিংহম টাইপ। দুষ্টের দমন করেন এরা। কর্তব্যপালনে সদা অবিচল। এদের সংখ্যা নাকি ক্রমশ কমছে। দুই) ঘুষ খাওয়া, দুর্নীতিতে গলা অবধি ডুবে থাকা পুলিশ। বাংলা সাহিত্য হোক কিংবা বলি সিনেমা, সবখানে এদেরই দাপট। তাই বলে থানায় রাখা বাজেয়াপ্ত সামগ্রী চুরির দায়ে অভিযুক্ত হবেন পুলিশ কর্মী! শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এমন কাণ্ডই ঘটেছে গুজরাটে (Gujarat)। থানায় মজুত বাজেয়াপ্ত মদের বোতল, টেবিল ফ্যান-সহ প্রায় ২ লক্ষ টাকার সামগ্রী চুরির দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫ পাঁচ পুলিশ কর্মী।
যে থানার বাজেয়াপ্ত সামগ্রী চুরি যাওয়ায় চাঞ্চল্য মোদি-শাহর রাজ্যে, সেটি রয়েছে মাহিসনগর জেলায়। কানপুর তালুকের বাকোর থানার ঘটনা। অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশর মধ্যে রয়েছেন একজন সাব ইন্সপেক্টরও। তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝে টেবিল ফ্যানের বাক্সে মদ পাচারে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই অভিযানে ৪৮২ বোতল ভারতে তৈরি বিদেশি মদ বাজেয়াপ্ত হয়। উদ্ধার হয় ৭৫টি টেবিল ফ্যান। বাকোর থানার মহিলা বন্দিশালা বা লকআপে ওই মদের বোতল এবং টেবিল ফ্যান রাখা হয়েছিল।
মাঝে বাজেয়াপ্ত মালের নথি তৈরির সময় ধরা পড়ে যে বেশ কিছু মদ এবং ফ্যান চুরি গিয়েছে। হিসেব করে দেখা যায়, ১২৫ বোতল দামী মদ চুরি গিয়েছে। যার বাজার মূল্য ১.৫৭ লক্ষ টাকা। ১৫ ফ্যান চুরি গিয়েছে। বাজার মূল্য ৪০, ৫০০ টাকা। এফআইআর থেকে জানা গিয়েছে, ২৫ অক্টোবর চুরির ছক কষেছিল এএসআই অরবিন্দ খান্ত। সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে সবটাই। অরবিন্দের সঙ্গে ছিলেন কনস্টেবল ললিত পারমার। রাত দশটা নাগাদ মদের বোতলগুলি হাতানো শুরু হয়। এর পর সিসিটিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অরবিন্দ, ললিত এবং তাঁদের তিন সঙ্গীকে। অভিযুক্ত এক স্থানীয় বাসিন্দা, যিনি চুরিতে সাহায্য করেন তিনি আপাতত পলাতক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.