সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে সরকারের ক্ষমতাবলে পাশ হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর তা পরিণত হয়েছে আইনে। সংসদে বিলটিকে আটকাতে না পারলেও, এবার ঘুরপথে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আটকাতে চাইছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই, অবিজেপি পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিয়েছেন, তাঁরা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন মানছেন না।
শুরু থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং এনআরসির বিরোধিতায় সরব এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই প্রথম ঘোষণা করেন, বাংলায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং এনআরসি চালু হতে দেবেন না। শুক্রবার দিঘায় আরও একবার স্পষ্ট করে সকথা জানিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কোনও অবস্থাতেই বাংলায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বলবৎ হতে দেব না। এই বিল দেশকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করবে। আমাদের সরকার থাকা পর্যন্ত এ রাজ্যের একজন নাগরিককেও দেশ ছাড়তে হবে না।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ‘র উদ্দেশ্যে মমতার বার্তা, কেন্দ্র চাইলেই রাজ্যের উপর বুলডোজার চালিয়ে দিতে পারে না।
মমতার সুরেই সুর মিলিয়েছেন কংগ্রেস শাসিত ৩ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং আগেই জানিয়েছিলেন, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া আইন তিনি সমর্থন করেন না। পাঞ্জাবে সিএবি চালু হবে না। শুক্রবার একই সুরে কথা বলেছেন আরও দুই কংগ্রেস শাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশের দুই মুখ্যমন্ত্রী। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেলের কথায়, “আমাদের অবস্থান একেবারেই আলাদা নয়। অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি যা ঠিক করেছে সেটাই হবে।” একই কথা বলছেন কমল নাথও। তাঁর কথায়, “আমরা এমন কোনও প্রক্রিয়ার অংশ হতে চাই না, যেটা বিচ্ছিন্নতবাদের বীজ বপন করছে। আমারা এআইসিসির সিদ্ধান্তই মেনে চলব।” উল্লেখ্য, এআইসিসি ইতিমধ্যেই এই বিলের বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই চার মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি বাম শাসিত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর রাজ্যে সিএবি চালু হবে না।
Chhattisgarh Chief Minister Bhupesh Baghel: Our stand won’t be different from what is being taken by All India Congress Committee (AICC) on #CitizenshipAmendmentAct. Our stand is same as them. pic.twitter.com/eYNQOsZFma
— ANI (@ANI) December 13, 2019
Madhya Pradesh Chief Minister Kamal Nath: Whatever stand the Congress party has taken on Citizenship Amendment Act, we will follow that,do we want to be a part of a process that sows seeds of divisiveness? (file pic) pic.twitter.com/Ktr2pkftLc
— ANI (@ANI) December 13, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.