সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্তিত্ব বাঁচাতে প্রয়োজন ছিল ৪০০ কোটি টাকা। ব্যাংকগুলিকে সাহায্য দেওয়ার আরজি জানিয়েছিল। কিন্তু কোনও ব্যাংক টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ১৭ এপ্রিল থেকে ডানা গুটিয়েছে জেট এয়ারওয়েজ। ফলে দিল্লি ও মুম্বই বিমানবন্দরে এই কোম্পানির বিমান রাখার জন্য ৪৪০টি আসন খালি হয়ে গিয়েছে। যা অন্যান্য বিমান সংস্থাকে স্বেচ্ছায় দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ।
জেট একসময় ভারতের প্রথম সারির বিমান সংস্থাগুলির অন্যতম ছিল। সেই সংস্থাই গত কয়েকমাস ধরে ধুঁকছিল। কর্মীরা ঠিকমত বেতন পাচ্ছিলেন না। ফলে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছিল। অর্থাভাবে ডিসেম্বর থেকে জেটের পরিষেবাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে শুরু করেছিল। হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র বিমান চলাচল করছিল। আর গত বুধবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবসা গুটিয়ে ফেলল জেট। এই বিমান সংস্থাকে বাঁচাতে ঋণদাতা ব্যাংকগুলির তরফে ওই সংস্থাকে ১৫০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। তাই জেটের তরফে ৪০০ কোটি টাকা আপৎকালীন তহবিল হিসেবে চাওয়া হয়েছিল। তা না মেলায় ঝাঁপ বন্ধ জেট এয়ারওয়েজের। ২০১৪ সালের মে মাস থেকে জেট এয়ারওয়েজ ভারতের ১৩ তম সংস্থা, যারা উড়ান বন্ধ করে দিল।
বৃহস্পতিবার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, স্বচ্ছতা বজায় রেখে তিন মাসের জন্য দিল্লি ও মুম্বই বন্দরের শূন্য আসনগুলি অন্যান্য এয়ারলাইনসকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মুম্বইয়ে ২৮০ টি এবং দিল্লি বন্দরে ১৬০ টিরও বেশি শূন্যপদ রয়েছে। পাশাপাশি জেটের ৩০টি বিমানকে নিজেদের কাজে লাগাতে চলেছে অন্যান্য সংস্থা। সেই সঙ্গে লিজে নেওয়া জেটের ২০-৩০টি বিমানও নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে কয়েকটি সংস্থা। কিন্তু যাঁরা ইতিমধ্যেই জেট এয়ারওয়েজের টিকিট কেটে ফেলেছেন, কীভাবে তাঁদের টিকিটের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে? এ প্রসঙ্গে অসামরিক বিমান পরিবহণ সচিব প্রদীপ সিং খারোলা জানান, আগামী সপ্তাহেই অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রককে এ বিষয়ে সমস্ত তথ্য জানানো হবে। সমস্যা সমাধানের জন্য বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক বসেন জেটের পাইলট, ইঞ্জিনিয়াররা। কিন্তু সেখানেও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। কর্মীরা গ্র্যাচুইটি পাবেন কিনা, সে বিষয়েও আশ্বস্ত করা সম্ভব হয়নি। এবার দেখার, জেটের জট আর কতদূর গড়ায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.