সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলের পর এবার নাগপুর। গায়ে জ্বর নিয়ে হাসপাতালের কাউকে কিছু না জানিয়ে পালিয়ে গেলেন একই পরিবারের ৪ জন। হাসপাতাল কর্মীদের নজরে আসতেই খোঁজ শুরু সেই ৪ জনের। তাদের মধ্যে ৩ জনের খোঁজ মিলেছে। তারা নিজেদের বাড়িতেই রয়েছেন বলে জানা যায়। পরে তাদের হাসপাতালে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
শুক্রবার সকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে একই পরিবারের দুই মহিলা-সহ চারজন নাগপুরের সরকারি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। বিকেলে হাসপাতালের কর্মীদের তা নজরে আসে। তারপর থেকেই খোঁজ শুরু হয়। সম্প্রতি জ্বর, সর্দি, কাশির জন্য এই ৪ জনকে ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে রাখা হয়। তবে তখনও তাদের শরীরে করোনার নমুনা না মেলায় তাদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি থাকতে বলা হয়। সেই ৪ জনকে খুঁজে পেতে হাসপাতালের তরফ থেকে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। হাসপাতালের তরফ থেকেও ফোন করে ফিরে আসতে বলা হয় তাদের।
আইজিএমসি-র আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “ওই চারজনের রক্তের নমূনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। করোনা ভাইরাস পজিটিভ না নেগেটিভ তা জানতে শনিবার সন্ধে হয়ে যাবে। আমরা তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছি।” কিন্তু হাসপাতালের ফোন পেয়েও ওই চারজন নাকি জানিয়ে দিয়েছেন রিপোর্টের অপেক্ষা করে বিরক্ত হয়েই তারা বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন। হাসপাতালের ফোন পাওয়ার ওই চারজনের একজন নাকি বলেছেন, “আগে রিপোর্ট আসুক। যদি পজিটিভ হয় জানাবেন। আমরা আবার হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়ে যাব।” জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ওই চারজনের বাড়িতে পুলিশও গিয়েছিল। বলা হয়েছে বিকেলের মধ্যে হাসপাতালে গিয়ে ভরতি হয়ে যেতে।
নাগপুরে ইতিমধ্যেই তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাস মিলেছে। মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলিতে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই চারজনের হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অনেকে হাসপাতালের নিরাপত্তার গাফিলতিরও অভিযোগ তুলছেন। নাগপুরের মতো শুক্রবার কেরলেও হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান এক মার্কিন দম্পতি। তাদের কোচি বিমানবন্দর থেকে ধরে আইসোলেশনে নিয়ে যায়। এপর্যন্ত ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’-এর প্রধান টেডরোসের কথায়, “করোনা ভাইরাসের জেরে মৃতের সংখ্যা ৫০০০-এ পৌঁছে যাওয়া নিঃসন্দেহে অত্যন্ত দুঃখজনক, হতাশার এবং ভয়েরও।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.