সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরে অনহারে মৃত্যু ৪ ব্রু উপজাতির মানুষের। অনাহারে মৃত্যুর এই তত্ত্ব সরকারিভাবে স্বীকার না করা হলেও ব্রু শরণার্থী শিবিরের শরণার্থীদের দাবি, সরকারি রেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনহারেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬ জনের।
ত্রিপুরার স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, কাঞ্চনপুর ও পানিসাগর মহকুমার সবকটি ক্যাম্পেই খাদ্যাভাবে ভুগছেন শরণার্থীরা। এ পর্যন্ত শরণার্থী শিবিরে মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। যদিও শরণার্থীদের একটি সংগঠনের দাবি, মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, জন চঙপ্রেং, আকোসা রিয়াং, মালতি রিয়াং, বিস্তীরুং রিয়াং নামের চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ব্রু সংগঠনগুলির দাবি, গত ১ অক্টোবর থেকেই তাদের রেশন বন্ধ। সরকারের কাছে বারবার আবেদন করেও কোনও লাভ হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যে আর্থিক অনুদান তাঁরা পেতেন তাও বন্ধ। খাদ্যের অভাবে শরণার্থী শিবিরের অধিকাংশ বাসিন্দা অপুষ্টিতে ভুগছে। যার প্রতিবাদে রাস্তাতেও নেমেছেন ব্রু উপজাতির প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ। গত ৩১ অক্টোবর থেকে তাঁরা কাঞ্চনপুরে অবরোধে বসে আছেন। অবরোধকারীদের দাবি, তাদের অনাহারে বা অর্ধাহারে থাকতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই, সরকারের কাছে তাদের দাবি পৌঁছে দিতে আন্দোলনে বসতে হচ্ছে।
১৯৯৭ সালে মিজোরামে সাম্প্রদায়িক অশান্তির আবহে বাধ্য হয়ে রাজ্য ছাড়েন ব্রু জনজাতির বাসিন্দারা। তারপর থেকেই ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরে শরণার্থী শিবিরে আছেন তাঁরা। সাম্প্রদায়িক অশান্তির ভয়ে তাঁরা আর দেশে ফিরতে পারেননি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এই ব্রু উপজাতিদের প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু, তারপর আর সেই প্রক্রিয়া গতি পায়নি। ব্রু উপজাতির সংগঠনগুলির দাবি, দ্রুত তাদের উদ্দেশে মানবিক পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে। এবং ধীরে ধীরে মিজোরাম ও ত্রিপুরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.