প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষা হয়নি পাকিস্তানের (Pakistan)। বৃহস্পতিবার ভোরে জম্মুর নাগরোটায় (Nagrota Encounter) চার জঙ্গিকে খতম করেছিল ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। ভেস্তে দিয়েছিল বড়সড় হামলার পরিকল্পনা। যার পিছনে পাক-যোগ প্রমাণ হয়েছে। তারপরও জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা চালানোর ছক কষেই চলেছে তারা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় সীমান্তরেখার কাছে তিনটি পাকিস্তানি ড্রোন উড়তে দেখা গিয়েছে। সেই ড্রোন থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে কিছু ফেলা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে যৌথ বাহিনী শুরু করেছে তল্লাশি অভিযান।
শনিবার সীমান্তরেখার কাছে আকাশে ড্রোন দেখতে পাওয়ার পরে বাসোনি, ধারানা প্রভৃতি এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। পরে রবিবার সকালেও পাক ড্রোন দেখতে পাওয়া যায় পুঞ্চ জেলার মেন্ধর সেক্টরে। সেখানেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। গত ছ’মাস ধরেই পাক ড্রোনের আনাগোনা বহু মাত্রায় বেড়েছে। মূলত অস্ত্রশস্ত্র ও মাদক দ্রব্য ছড়াতেই সীমান্তরেখা পেরিয়ে এই ড্রোনগুলিকে ভারতের অংশে পাঠায় পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার নাগরোটায় যে চার জইশ জঙ্গি খতম হয়, পাকিস্তানের মদতে ২৬/১১ হামলার ধাঁচে হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের। জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের এক ভাইয়ের সঙ্গে ওই জঙ্গিরা যোগাযোগ রাখছিল বলে জানা যায়। এনকাউন্টারে খতম হওয়া ওই জেহাদিদের পাক-যোগ প্রমাণ হতেই পাকিস্তান হাই কমিশনের শীর্ষ কর্তাকে সমন পাঠিয়েছিল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। শনিবার তাঁকে ডেকে ভারতের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। জেহাদি গোষ্ঠীকে মদত দেওয়া থেকে পাকিস্তানকে বিরত থাকার বিষয়ও সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও যে পাকিস্তান কর্ণপাত করেনি তা বোঝা যাচ্ছে।
এদিকে FATF-এর ধূসর তালিকা থেকে বেরতে মরিয়া ইসলামাবাদ। আন্তর্জাতিক আর্থিক দুর্নীতি নিয়ন্ত্রক এই সংস্থার ধূসর তালিকায় গত মাসেও রেখে দেওয়া হয় পাকিস্তানকে। পাকিস্তান বুঝে গিয়েছে, এই তালিকা থেকে বেরতে হলে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে তাদের। তবুও বারবার জঙ্গি হামলার পিছনে তাদের সমর্থন ও মদতের বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.