সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাড়খণ্ড ও বিহার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে অপহৃত ৩৪টি শিশুকে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ৷ ধৃতের বিরুদ্ধে মানবপাচারের মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাঞ্জাব পুলিশ৷
[চেন টানলেই এবার জরিমানা ১০ হাজার, যাত্রী সুরক্ষায় কড়া পদক্ষেপ রেলের]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের হোমে অপহৃত ৩৪টি শিশুকে জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ উঠল৷ পশ্চিম সিংভূমের এসপি জি ক্রান্তি কুমার জানিয়েছেন, ওই শিশুদের লুধিয়ানায় মিশনারি পরিচালিত একটি হোমে রাখা হয়েছিল। গত ২৬ আগস্ট চাইবাসার শিশুকল্যাণ কমিটির সদস্যরা পুলিশের কাছে ৩৪টি শিশুকে অপহরণের অভিযোগ করেন৷ ওই শিশুদের বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি৷ পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ৷ শিশুকল্যাণ কমিটির অভিযোগের ভিত্তিতে ঝাড়খণ্ড পুলিশের একটি দল লুধিয়ানা হানা দেয়৷ ১২টি শিশু উদ্ধার করা গেলেও বাকিদের এখনও হদিশ মেলেনি৷ বাকি নিখোঁজ শিশুদের সন্ধানে ইতিমধ্যেই তল্লাশি অভিযানে নেমেছে পুলিশ৷ পাশাপাশি এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ ধৃতের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে৷ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ৷
[জেলে নয়, বাম বুদ্ধিজীবীদের বাড়িতেই নজরবন্দি রাখার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
কিন্তু, কী কারণে এই শিশুদেরকেই টার্গেট করা হল? শুধুই কি ধর্মান্তরিত করাই লক্ষ্য ছিল অভিযুক্তদের নাকি, বিক্রির উদ্দেশ্য ছিল? পুলিশের অনুমান, শিশুদের প্রথমে ধর্মান্তরিত করে চাহিদা অনুযায়ী তাদের বিক্রির প্রধান লক্ষ্য ছিল অভিযুক্তদের৷ বিভিন্ন হোম থেকে শিশু চুরি করে তা নিঃসন্তান দম্পতিদের কাছে বিক্রির করত অভিযুক্তরা৷ তবে, গোটাই পুলিশের অনুমান হলেও ধৃতকে জেরা করে মানব পাচারের পর্দাফাঁস করতে মরিয়া পুলিশ৷ এমনিতেই দিনে দিনে বেড়েই চলেছে ঝাড়খণ্ড ও বিহারের প্রত্যন্ত পিছিয়ে পড়া গ্রামে শিশু ও মানব পাচারের কাজ৷
[মায়ের পারলৌকিক ক্রিয়ার জন্য অসমের ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মুক্ত ‘বিদেশি’ দম্পতি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.