সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মসনদে বসেই দেশকে আত্মনির্ভর হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও দেশীয় অস্ত্রের ব্যবহারে জোর দিয়েছেন তিনি। সেই দিশায় বিগত দিনে একের পর এক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র সরকার। এবার তারই ফল মিলল। এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের অস্ত্র আমদানি কমেছে প্রায় ৩৩ শতাংশ।
সোমবার ‘স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এর (Sipri) এক রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০১১-১৫ ও ২০১৬-২০ সালের মধ্যে ভারতের অস্ত্র আমদানি ৩৩ শতাংশ কমেছে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে রাশিয়া। কারণ, স্বাধীনতার পর থেকে অর্থাৎ নেহরু জমানা থেকেই সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পরে রুশ অস্ত্রের উপর নির্ভরশীল ছিল ভারতীয় ফৌজ। যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে ট্যাংক পর্যন্ত সবই প্রায় রাশিয়া থেকে আমদানি করে ভারত। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ধাক্কা খেয়েছে মস্কোর ব্যবসা। Sipri রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন অস্ত্র আমদানিও অন্তত ৪৬ শতাংশ কমিয়েছে ভারত। উল্লেখ্য, বিদেশি অস্ত্রের ৪৯ শতাংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করে ভারত। সব মিলিয়ে এটা স্পষ্ট যে দেশীয় প্রযুক্তিতে জোর দিয়ে বিদেশি অস্ত্রের উপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে নয়াদিল্লি।
উল্লেখ্য, গত বছর ১০১টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপায় ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রক এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করে। মন্ত্রকের তরফে ১০১টি পণ্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেগুলি নির্দিষ্ট সময়ের পর আর আমদানি করা যাবে না। দেশীয় উৎপাদন বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, আগামী পাঁচ -ছয় বছরে প্রায় চার লক্ষ কোটি টাকার বরাত দেওয়া হবে দেশীয় সংস্থাগুলিকে। নিষিদ্ধ হওয়ার এই তালিকায় শুধুমাত্র অস্ত্রের বিভিন্ন অংশই নেই, রয়েছে উন্নত প্রযুক্তি অত্যাধুনিক অস্ত্রও। যেমন আর্টিলারি বন্দুক, অ্যাসল্ট রাইফেল, রাডার, এয়ারক্রাফ্ট-সহ একাধিক উন্নতপ্রযুক্তির অস্ত্র রয়েছে। ১০১ টি পণ্যের তালিকাও দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।এর মধ্যে রয়েছে স্নিপার রাইফেল, সেলফ প্রপেলড বন্দুক, আর্টিলারি বন্দুক, বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, কিছু মিসাইল, হালকা ওজনের হাউৎজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.