ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’দিনে ৩০টি পথকুকুরকে (Stray Dog) গুলি করে মারা হল বিহারের (Bihar) বেগুসরাইয়ে। সরকারি নির্দেশেই এই নিধনযজ্ঞ বলে জানা গিয়েছে। এক সংবাদমাধ্যমের দাবি তেমনই। এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, এলাকায় মানুষকে কামড়ে দেওয়া পাগল কুকুরের সংখ্যা বাড়ছে। তাই এমন সিদ্ধান্ত। রীতিমতো পেশাদার শুটারদের ‘সুপারি’ দিয়ে কুকুরগুলিকে মারা হয়েছে।
মঙ্গলবার মারা হয়েছিল ১৬টি কুকুরকে। পরদিন, বুধবার শুটারদের গুলিতে প্রাণ হারাল আরও ১৪টি প্রাণী। গ্রামের মানুষকে ওই কুকুরগুলি আক্রমণ করছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপরই নাকি জেলা প্রশাসন এবং জঙ্গল ও পরিবেশ দপ্তরের একটি দল ওই জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় অপারেশন।
সরকারি আধিকারিকদের দাবি, বেগুসরাই জেলার বাচ্ছওয়ারা ব্লকের অনেক গ্রামেই কুকুরের হামলায় বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন। গত রবিবারই জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হয় এক মহিলার। পরদিন, সোমবার ফের কুকুরের কামড়ে গুরুতর জখম হন আরও তিন মহিলা। এরও আগে অনেকেই কুকুরের হামলার মুখে পড়েছেন। ডিসেম্বরে কুকুরের কামড়ে প্রাণ হারান ৪ জন। পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ হয়ে উঠছিল বলেই এমন সিদ্ধান্ত, দাবি প্রশাসনের। আসলে গ্রামে বহু সময়ই মৃত পশুদের দেহ যত্রতত্র ফেলে রাখা হত। সেগুলি খেয়েই কুকুরগুলি হিংস্র হয়ে উঠছিল বলে দাবি।
এদিকে নয়াদিল্লির সাকেতে এক অশীতিপর বৃদ্ধা দাবি করেছেন, তিনি প্রায় ৩০০ পথকুকুরের দেখভাল করেন। কিন্তু দিল্লি পুরনিগম তাঁর বাসস্থান কেড়ে নিয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে অস্থায়ী বাড়িটি। ফলে তাঁর সঙ্গেই রাতারাতি প্রবল ঠান্ডায় গৃহহীন অতগুলি অবলা জীবও। আপাতত নিজের ভাঙা বাসস্থানে ত্রিপল খাটিয়েই বসবাস করছেন প্রতিমা দেবী নামের ওই বৃদ্ধা। জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি হাল ছাড়ছেন না। যতদিন পারবেন ওই কুকুরগুলিকে আশ্রয় দেবেন তিনি। গত তিরিশ বছর ধরেই এই কাজ তিনি করে আসছেন বলে দাবি তাঁর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.