Advertisement
Advertisement
কাশ্মীর

কাশ্মীরে রাতভর গুলির লড়াইয়ে নিকেশ ৩ জঙ্গি, শহিদ এক সেনা আধিকারিক

সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর মরিয়া চেষ্টা করছে পাকিস্তান।

3 terrorists killed in encounter between security forces & terrorists
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:October 23, 2019 8:55 am
  • Updated:October 23, 2019 3:04 pm  

মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: ফের উত্তপ্ত উপত্যকা। অবন্তিপোরায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয়েছে তিন জেহাদি। ওই তিন জেহাদির মধ্যে ছিল কুখ্যাত আল-কায়দা জঙ্গি জাকির মুসার উত্তরসূরী হামিদ লেলহারিরও মৃত্যু হয়েছে। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। অন্যদিকে, একইদিনে নওসেরায় সীমান্তরেখায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ যায় এক ভারতীয় সেনা আধিকারিকের। মঙ্গলবার রাতভর নওসেরা সেক্টরে গুলির লড়ই চলেছে। এখনও অব্যাহত তল্লাশি।


নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে কাশ্মীরে ব্যাপক বরফ পড়ার ফলে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি ভারতে তাদের ক্যাডারদের অনুপ্রবেশ করাতে পারে না। তাই বরফ পড়া শুরু হওয়ার আগে জঙ্গিদের ভারতে ঢুকিয়ে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে সংগঠনগুলি। আর তাদের পরোক্ষে মদত দিচ্ছে পাক সেনা। ভারতীয় সেনা আধিকারিকদের নজর ঘোরাতে প্রায় প্রতিদিনই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে তাঁরা। মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিকেল হওয়ার আগেই সীমান্তের ওপার থেকে মর্টার, শেলিং শুরু হয়। যোগ্য জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। এই সুযোগে কিছু জঙ্গি ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। কিন্তু, সেনার তৎপরতায় তা ব্যর্থ হয়। পুলওয়ামাতে গতকাল থেকেই দুই জঙ্গিকে ঘিরে রাখা হয়েছে। তাদের জীবন্ত ধরার চেষ্টা চলছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন:একের পর এক আছড়ে পড়ছে বোমা, পোখরানে ‘নেক্সট জেন যুদ্ধ’ শুরু ভারতীয় সেনার ]


উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে নিজে থেকেই সংঘর্ষবিরতির অনুরোধ করে পাকিস্তান। গত রবিবার ভারতীয় সেনার আর্টিলারি হামলায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের যে এলাকায় জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস হয়েছে, সেই এলাকা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কূটনৈতিক দল পাঠিয়েছিল পাকিস্তান। সেই দলে বিদেশি আধিকারিকরাও ছিলেন। তাই, এদিন সকালেই ভারতকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন না করতে অনুরোধ করে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনা সেই অনুরোধ রাখেও। কিন্তু, পরে নিজেরাই গোলাবর্ষণ শুরু করে পাক সেনা। তাদের গুলিতে আহত হন কাশ্মীরের দুই স্থানীয় বাসিন্দা। সীমান্তবর্তী এলাকার একটি স্কুলে আটকে পড়ে ছাত্ররা। পাক সেনার এই কাপুরুষোচিত আক্রমণের যোগ্য জবাব দেয় সেনাও। কিছুক্ষণের মধ্যেই সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্থানীয়দের দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়। আর কোনও হতাহতের খবর নেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement