সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের বদায়ুনে ঘটে যাওয়া গণধর্ষণের ঘটনা নির্ভয়া কাণ্ডের স্মৃতি ফিরিয়েছে! বদায়ুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত পুরোহিতর কীর্তির কথা চমকে উঠছেন সবাই। ফের প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশে সিদ্ধি জেলার আমালিয়া এলাকায়। পানীয় জল দিতে রাজি না হওয়ায় এক বিধবার (widow) গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দিল তিন দুষ্কৃতী। পাশবিক এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশে। শিবরাজ সিং চৌহানের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের সিদ্ধি (Sidhi) জেলার আমালিয়া এলাকার বাসিন্দা ওই নির্যাতিতা মহিলার স্বামী কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। দুই ছেলেকে নিয়ে সংসার চালানোর জন্য তাই স্থানীয় এলাকায় চায়ের দোকান চালাতেন তিনি। আর থাকতেন দোকানের পাশের ঝুপড়িতে। শনিবার রাতে ওই মহিলা যখন দুই ছেলেকে নিয়ে সেখানে ঘুমোচ্ছিলেন আচমকা তিন ব্যক্তি উপস্থিত হয়। তাঁকে ডেকে তুলে খাবার জল চায়। কিন্তু, তিনি জল দিতে রাজি না হওয়ায় ঝুপড়ির ভিতরে ঢুকে একটি লোহার রড তাঁর গোপনাঙ্গ ঢুকিয়ে দেয় তিন দুষ্কৃতী। এর জেরে অসহ্য যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকেন নির্যাতিত মহিলা। সেই শব্দ শুনে আশপাশের লোকেরা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে ওই মহিলাকে রেওয়া জেলার সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভরতি করা হয়েছিল। সেখানকার চিকিৎসকরা অপারেশন করে মহিলার গোপনাঙ্গ থেকে লোহার রডটি বের করতে সক্ষম হয়েছেন।
এদিকে এই নৃশংস ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে উত্তেজনা ছড়ায় স্থানীয় এলাকায়। পুলিশও দ্রুত তদন্ত করে সোমবার সকালে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। অন্যদিকে এই ঘটনাকে উত্তরপ্রদেশের হাথরাস ও বদায়ুন কাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে শিবরাজ সিং চৌহানের তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। এপ্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশের প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা কেকে মিশ্র বলেন, ‘শিবরাজ সিংজি, হাথরাস ও বদায়ুনের ভূত এবার মধ্যপ্রদেশেও ঢুকে পড়েছে। সিদ্ধি জেলার গণধর্ষণের পর এক মহিলার গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু, এখন সমস্ত জাতীয়তাবাদী ও স্বঘোষিত অভিভাবকরা চুপ করে রয়েছেন। আপনি একটা টুইট পর্যন্ত করেননি। একে কি দ্বিচারিতা বলে না?’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.