সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজনেস ক্লাসের টিকিটে বিমানে। বিলাসবহুল পাঁচতারা হোটেলের রুম। এবং বহিসেবি খরচ। এক অডিটে তিন আইএএস আধিকারিকের এমনই ফ্রান্স (France) সফরের খরচের বিবরণ সামনে আসার পরে বিতর্ক ঘনিয়েছে। ২০১৫ সালের সেই সফল ঘিরে প্রশ্ন উঠছে আমজনতার টাকার এমন অপব্যবহার নিয়ে।
এই তিন আমলা হলে বিজয় দেব, অনুরাগ আগরওয়াল ও বিক্রম দেব দত্ত। প্রথমজন সেই সময় ছিলেন চণ্ডীগড়ের প্রশাসনের পরামর্শদাতা। দ্বিতীয় জন অর্থাৎ অনুরাগ ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব। বিক্রম ছিলেন ব্যক্তিগত সচিব। পাঞ্জাবের প্রাক্তন রাজ্যপাল কাপ্তান সিং সোলাঙ্কি সেই সময় ছিলেন চণ্ডীগড়ের অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন।
২০১৫ সালে, চণ্ডীগড় সরকার সুইস-ফরাসি স্থপতি লে কর্বুসারের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক বৈঠকের জন্য প্যারিসে (Paris) ফাউন্ডেশন লে কর্বুসারের থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছিল। তিনি চণ্ডীগড়ের (Chandigarh) জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছিলেন। চণ্ডীগড় প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের জন্য চারজন অংশগ্রহণকারীকে মনোনীত করে। বিজয় দেব, বিক্রম দেব দত্ত এবং অনুরাগ আগরওয়ালের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছ থেকে অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। সফরের কর্মসূচি প্রস্তুত করা হয়। নেওয়া হয় অনুমোদন। কর্মকর্তারা একে অপরের সফরের অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
নয়া অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই আমন্ত্রণ মূলত ছিল একজনের। এবং সেটাও চণ্ডীগড়ের প্রধান ইঞ্জিনিয়ারের। কিন্তু তিনজন সচিব স্তরের কর্মকর্তাও তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন। এবং সেটা করদাতাদের টাকায়। রিপোর্টে পরিষ্কার বলা হয়েছে, ওই সফর আমন্ত্রণকারী সংস্থা বহন করেনি। চণ্ডীগড় সরকারই সব খরচ দিয়েছিল। এও বলা হচ্ছে, স্ক্রিনিং কমিটির অনুমোদন ছাড়া পাঁচ দিনের বেশি বিদেশ ভ্রমণ করা যায় না। কিন্তু এই সফর ছিল সাত দিনের। কোনও অনুমোদন ছাড়াই এক দিনের সফরকে সাত দিনের করা হয়েছিল। এমনকী হোটেলও বদলানো হয়েছিল সফরের মাঝপথে। যে কারণে খরচও একলাফে বেড়ে যায়।
এখনও পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেননি ওই তিন আইএএস অফিসার। চণ্ডীগড় প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত এক সিনিয়র অফিসার সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্য়মকে জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই অডিট রিপোর্টটি পরীক্ষা করার পরই যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.