সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৩ কোটি সদস্য কমেছে বিজেপির। না কোনও পরিসংখ্যান নয়, এই তথ্য উঠে আসছে খোদ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর বয়ানেই। দলের কার্যকারিণী সভায় বিজেপি সভাপতি বক্তব্য রাখার সময় উল্লেখ করেন, বর্তমানে বিজেপির সদস্য সংখ্যা ৮ কোটি। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কী দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে গেরুয়া শিবির। কেননা, তিন বছর আগে এই অমিত শাহই তো বারবার দাবি করতেন বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১১ কোটি।
ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪-র নভেম্বর মাসে অনলাইন মেম্বারশিপ ড্রাইভ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অর্থাৎ মিসড কল দিলেই হওয়া যেত গেরুয়া শিবিরের সদস্য। অভিযান শুরুর মাত্র মাস ছয়েক পরই বিজেপির সদস্য গিয়ে দাঁড়ায় ৮.৮ কোটি। খোদ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ দাবি করেন, চিনের কমিউনিস্ট পার্টিকে সরিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। অমিতের ঘোষণার দু’মাস পরই দলের সদস্য সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১১ কোটিতে। সেসময় সেকথাও একাধিকবার বুক বাজিয়ে বলেছেন অমিত শাহ। দলের অন্য নেতারা আবার দাবি করতেন, ১১ নয় বিজেপির সদস্য অন্তত ১৪ কোটি। বিরোধীরা অবশ্য বলছিল, এ সবই ফাঁপা ফানুসের মতো। মিসড কলের মাধ্যমে সংগৃহীত সদস্যের সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল থাকতে পারে না।
তবে কী সেই ফানুস ফেটে গেল। কারণ কার্যকরিণী সভায় অমিত শাহ বললেন, বর্তমানে বিজেপির ৮ কোটি সদস্য। অর্থাৎ, সভাপতির কথা অনুযায়ীই ৩ বছরে অন্তত ৩ কোটি সদস্য কমেছে গেরুয়া শিবিরের। অনেকে বলছেন, সেসময় যে ফোন নম্বরগুলি থেকে ফোন করে সদস্য হিসেবে নাম নথিভুক্ত করানো হয়েছিল তাঁর অনেকেরই এখন অস্বিত্ব নেই। তাই স্বাভাবিক নিয়মেই গেরুয়া শিবিরের সদস্য সংখ্যা কমেছে। যদিও, বিজেপি দপ্তরের কর্মীরা সে তত্ত্ব মানতে নারাজ। বিজেপি সদর দপ্তরের এক কর্মী একটি সর্বভারতীয় ওয়েবসাইটকে জানিয়েছেন, এবছর দলের সদস্য হিসেবে ১১ কোটি মানুষেরই রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। কিন্তু তাঁর মধ্যে ৩ কোটি সদস্যের রেজিস্ট্রেশন এখনও যাচাই করা বাকি। সেকারণেই অমিত শাহ ৮ কোটি সদস্যের কথা উল্লেখ করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.