Advertisement
Advertisement

Breaking News

26/11 Mumbai attack

২৬/১১ মুম্বই হামলায় স্পষ্ট লস্কর-আইএসআই যোগ, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতের

অবিলম্বে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ইসলামাবাদকে।

26/11 Mumbai attack accused David Headley exposes Lashkar-ISI connection। Sangbad Pratidin

ফাইল ফটো

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:October 27, 2020 2:42 pm
  • Updated:October 27, 2020 3:06 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে যে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল তাতে লস্কর ও আইএসআই (ISI) জড়িত ছিল। মার্কিন ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির জেরার মুখে একথাই স্বীকার করেছে এই হামলার ঘটনার অন্যতম মূলচক্রী ডেভিড হেডলি। এরপরই সঠিক বিচার চেয়ে ইসলামাবাদকে বার্তা দেওয়া হয়েছে নয়াদিল্লির তরফে।

২০১০ সালে আমেরিকার একটি আদালতে ২৬/১১ মুম্বই হামলা (26/11 Mumbai attack)’র ষড়যন্ত্র ও ডেনমার্কের একটি সংবাদসংস্থায় হামলার ঘটনা-সহ ১২টি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয় ডেভিড হেডলি (David Headley)। এর জেরে ৩৫ বছর জেলের সাজা হয় তার। তবে লস্কর ও আইএসআইয়ের বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হওয়ায় মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে তার একটা চুক্তি হয়েছিল। যাতে উল্লেখ করা হয়েছিল যে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না বা ভারতে পাঠানো যাবে না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: হাথরাস মামলার তদন্ত হবে এলাহাবাদ হাই কোর্টের নজরদারিতেই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]

আমেরিকা সরকার ডেভিড হেডলির এই শর্ত মেনে নেওয়ায় মার্কিন ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছে লস্কর-ই-তইবা ও আইএসআই সম্পর্কে মুখ খোলে সে। জানায়, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হয়ে সে কাজ করত। আর ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর লস্কর জঙ্গিরা মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় যে হামলা চালিয়েছিল তার পিছনে আইএসআইয়েরই হাত ছিল।

মুম্বই হামলার অন্যতম মূলচক্রী ডেভিড হেডলির এই স্বীকারোক্তির পরেই ইসলামাবাদকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দেয় নয়াদিল্লি। এই বিষয়ে তাকে সাক্ষ্যকে হাতিয়ার বানিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বলে। পাশাপাশি আরও জানানো হয় এই হামলার ঘটনার তদন্তের জন্য ভারত মুম্বইয়ে পাকিস্তান বিচারবিভাগীয় কমিশন (Pakistan judicial commission) খুলছে। সেখানে বা টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষীদের বক্তব্য শোনা হবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে তাজ হোটেল-সহ মু্ম্বইয়ের একাধিক জায়গায় হামলা চালিয়েছিল ১০ জন লস্কর জঙ্গি। জনবহুল এলাকায় এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে অনেক মানুষকে হত্যা করেছিল। পরে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে ৯ জন খতম হলেও আজমল কাসভকে জীবিত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে ফাঁসি ঝোলানো হয়েছিল।

[আরও পড়ুন: এবার ভারতীয় মৎস্যজীবীদের উপরে ‘হামলা’ শ্রীলঙ্কার নৌসেনার! ছিঁড়ল জাল, আহত ১]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement