সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গো-মাংস গুজবে দেশে পিটিয়ে খুনের ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়। গাড়িতে গরু আছে। এই অভিযোগে মারধরও ঘটছে দেশের নানা প্রান্তে। মূলত স্বঘোষিত গোরক্ষক বাহিনী এই ধরনের দুষ্কর্মে যুক্ত। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এই প্রবণতা বেশি করে দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। গেরুয়া শিবির গরু বাঁচানোর জন্য নানা সওয়াল করলেও, হরিয়ানায় দেখা গেল অন্য ছবি। বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে খোদ সরকারি পশুপালন কেন্দ্রে বেঘোরে প্রাণ গেল ২৫ থেকে ৩০টি গরুর।
গরু নিয়ে অনেক জাবর কেটেছে গেরুয়া শিবির। মরণাপন্ন বা অসুস্থকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স না মিললেও, উত্তর প্রদেশে গরু বাঁচাতে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য থেকে কিছুটা দূরে হরিয়ানা। সেখানেও বিজেপির একচ্ছত্র দাপট। তবে হরিয়ানায় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে বিড়ম্বনায় ফেলল রাজ্যের পশুপালন দপ্তর। হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের মাথানা গ্রামে সরকারি গোশালায় ২৫টি গরু কার্যত অনাহারে মারা গেল। অথচ এই কেন্দ্রে রাজ্যের গো-সেবা কমিশনের কর্তা, জেলা প্রশাসনের লোকজন বারবার ঘুরেও গরুগুলিকে বাঁচাতে পারেননি। স্থানীয় মাথানা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান কিরণ বালার সাফাই, টানা বৃষ্টির ফলে গবাদি পশুগুলি অসুস্থ হয়ে পড়ে। কয়েকটি গরু খাবার পাচ্ছিল না তারা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলেই মৃত্যু। কিছু দিন আগে রাজ্য পশুপালন দপ্তরের উদ্যোগে কুরুক্ষেত্রের মাথানায় গো-শালা ঘটা করে শুরু হয়েছিল। পিঠ বাঁচাতে পশুপালন দপ্তরের বক্তব্য, তারা গরুদের ঠিকমতো যত্ন নিতেন। অনেক চেষ্টা করেও তারা গরুগুলিতে বাঁচাতে পারেননি।
শ্রী কৃষান গৌশালা বলে একটি সংগঠন খামারগুলিতে খাবার সরবরাহ করে। তারা হাটে হাঁড়ি ভেঙেছেন। ওই সংগঠনের বক্তব্য, সাত একর জমিতে ওই পশুপালন কেন্দ্র তৈরি হয়েছিল। যা পুরোপুরি অবৈজ্ঞানিক। গাদাগাদি করে বেশ কিছু গরু রাখা হয়েছিল। এই মুহূর্তে ৬০০ গরু থাকলেও, তাদের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া হয় না। এমনকী ওই খামারে পশুখাদ্য এবং পানীয় জলের অভাব রয়েছে। মনোহর লাল খাট্টার সরকারের গোশালায় গরুর মড়ক ঘিরে বিজেপির ঘরে-বাইরে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.