Advertisement
Advertisement

Breaking News

কর্ণাটক

ধ্বংসস্তূপে ৬২ ঘণ্টা, মৃত্যুকে হারিয়ে ফিরলেন কর্ণাটকের যুবক

বহুতলটি কর্ণাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা বিনয় কুলকার্নির এক আত্মীয়ের।

Man being pulled out from Dharwad building rubble.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:March 22, 2019 1:14 pm
  • Updated:March 22, 2019 1:14 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : মৃত্যুর হাতছানিকে অগ্রাহ্য করে জীবনে ফেরা। কথাটা শুনতে ভাল লাগলেও পরিস্থিতিটা যে কী হয় তা এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে যিনি গেছেন একমাত্র তিনিই জানেন। মৃত্যুকে জয় করা সেই মানুষদের তালিকায় এবার যুক্ত হল কর্ণাটকের ধারওয়াড়ের সমুর নাম। শুধু তাই নয়, ‘রাখে হরি, মারে কে’ প্রবাদটা যেন সত্যি হল তাঁর জীবনে। 

দুঃসহ দুঃশ্চিন্তার ৬২ ঘণ্টা পর, কুমারেশ্বর নগরের ভেঙে পড়া নির্মীয়মাণ বহুতলটির ধ্বংসস্তূপ থেকে তিনি যখন বাইরে বেরিয়ে আসছেন তখন যেন ম্যাজিক দেখছিলেন বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষরা। সমুর চোখে আতঙ্কের পাশাপাশি তখন খেলা করছে নতুন জীবনে ফেরার আস্বাদ। মাতৃগর্ভের থেকেও অন্ধকারাচ্ছন্ন ধ্বংসস্তূপে কাটানো ৬২ ঘণ্টার স্মৃতি তাঁর মনে চিরকাল না থাকলে সেখান থেকে আলোয় ফেরার এই মুহূর্তটা হয়তো কোনওদিনই ভুলতে পারবেন না তিনি।

Advertisement

Miracle Rescue

কর্ণাটকের একজন সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক এম এন রেড্ডি সমুকে উদ্ধার করার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, সবুজ রঙের সার্ট গায়ে এক পুলিশকর্মীর সাহায্য নিয়ে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বেরিয়ে আসছেন সমু। তারপর ওই পুলিশকর্মীকে কিছু একটা বলছেন। একটু পরে তাঁকে ওই এলাকার বাইরে বের করে নিয়ে যান অন্য পুলিশকর্মীরা।

[তিনমাস বেতন হয়নি, প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ জেট এয়ারওয়েজের বিমানচালকরা]

গত মঙ্গলবার, অন্য আর পাঁচটা দিনের মতোই কর্ণাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা বিনয় কুলকার্নির আত্মীয়ের মালিকাধীন ওই বহুতলটিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন সমু। কিন্তু, ৬২ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকালে যখন তিনি ধ্বংসস্তূপের বাইরে বেরিয়ে এলেন তখন বদলে গেছে অনেক কিছু। জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ), দমকল ও আপৎকালীন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৩০০-রও বেশি কর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রমে ৬৪ জন উদ্ধার হলেও প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। জখম আরও ৫৫। পাশাপাশি এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা চার থেকে ছ’জনের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।

[শহরে অপ্রীতিকর ঘটনা রুখে দোলে চ্যাম্পিয়ন কলকাতা পুলিশ]

ইতিমধ্যেই এই বহুতলটি নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ারকে মহারাষ্ট্র থেকে গ্রেপ্তার করেছে কর্ণাটক পুলিশ। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাতেই ওই বহুতলের পাঁচজন মালিকের মধ্যে চারজন আত্মসমপর্ণ করেছেন। বৃহস্পতিবারই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। গিয়েছিলেন মধ্য হুবলি-দারওয়াড় এলাকার বিজেপি সাংসদ এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টারও। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি হাইকোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করানোর দাবিও তোলেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement