সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চুরি, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি, জালিয়াতি – সব অপরাধের পরিণাম একটাই ঠিকানা, জেল৷ লোহার গরাদ দিয়ে আবদ্ধ এক হতশ্রী, নোংরা, দুর্গন্ধ যুক্ত ঘর৷ যেখানে বাসি খাবার ও পুলিশের লাঠির মার ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না৷ রূপোলি পর্দায় দৌলতে বেশিরভাগ মানুষেরই এই বিশ্বাস জেল সম্পর্কে৷কিন্তু, আসলে কেমন হয় জেলের পরিবেশ? কেমনই বা হয় সেখানে থাকার অভিজ্ঞতা৷
জানতে চান? চলেই যান না শ্রীঘরে! না না, ভয় পাওয়ার কিছু নেই৷ কোনও অপরাধ করতে হবে না শ্রীঘরের অভিজ্ঞতা পেতে গেলে৷ লাগবে মোটে ৫০০ টাকা৷ এই মূল্য দিয়েই দিব্যি একটা দিন কাটিয়ে দিতে পারবেন গরাদের অন্দরে৷ এমনই ব্যবস্থা করা হয়েছে তেলেঙ্গানার মেডক জেলার সঙ্গারেড্ডি জেলের পক্ষ থেকে৷
৫০০ টাকার বিনিময়ে একেবারে সাধারণ কয়েদিদের মতোই পাবেন জেলের নিয়মবলির ম্যানুয়াল, খাদি পোশাক, বিছানা, স্টিলের থালা-বাটি-গ্লাস, সার্ফ ও সাবান৷ বাড়তি পাওনা শুধুমাত্র একটি পাখা, হাওয়া খাওয়ার জন্য৷
নিয়ম একেবারে বাঁধা৷ সকাল ছটা থেকে সাড়ে ছটার মধ্যে চা, সাতটা থেকে সাড়ে সাতটায় ব্রেকফাস্ট৷ দুপুরের খাবার সেরে নিতে হবে সাড়ে দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে৷ দুপুর সাড়ে বারোটায় আরও একবার চা৷ বিকেল সাড়ে চারটে থেকে পাঁচটার মধ্যেই ডিনার৷ চাপাটি, লাল চালের ভাত, রসম, কারি, দই – মেনুর সব খাবারই বাড়ির তৈরি হলেও তা আসে কান্দির ডিস্ট্রিক্ট জেল থেকে৷
গরাদের পিছনে থাকার স্বাদ পূরণ হলে দেখতে পারেন জেলের তৈরি মিউজিয়ামও৷ ২১৯ বছরের এই জেলের ইতিহাসের প্রত্যেক দলিল সাজানো সেখানে৷ অনেকেই এই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন৷ জেল কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ী, জুন মাসের ছয় তারিখ থেকে এখনও পর্যন্ত ৫৫০ জন সাধারণ মানুষ এই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন৷ যা বাবদ মোট আয় হয়েছে ৪,২৯৫ টাকা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.