সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীনগরের ডিএসপি আয়ুব পণ্ডিতকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল প্রায় ২০ জন অভিযুক্তকে। এই ঘটনায় জড়িত আরও ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন কাশ্মীর পুলিশের আইজি মুনির খান। গোটা ঘটনাকে প্রশাসন অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং এই ধরনের ঘটনা কাশ্মীরে প্রথমবার ঘটল বলে জানিয়েছেন আইজি। সাংবাদিক বৈঠকে আইজি জানান, ঘটনার মূল অভিযুক্ত হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি সাজিদ আহমেদ গিলকর ইতিমধ্যেই মৃত। গত ১২ জুলাই বুদগাম জেলায় নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মারা যায় সে। বাকি কুড়ি জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ২ সন্দেহভাজন আটক]
গত মাসের ২২ তারিখ আয়ুব সারারাত ধরে শ্রীনগরের একটি মসজিদের নমাজ চলাকালীন নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। নমাজ শেষে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি জাকির মুসার সমর্থনে স্লোগান দিতে থাকে উপস্থিত বেশ কিছু মানুষ। তারা বহিরাগত বলেই জানাচ্ছেন মুনির খান। এরপরেই আয়ুব পণ্ডিতকে লক্ষ্য করে হামলা চলে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে তিনি গুলি চালান বলে অভিযোগ। তার আচমকা গুলিচালনায় তিনজন গুরুতর জখম হন। এরপরেই ক্ষুব্ধ জনতার গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় তাঁর।
[‘ইন্দু সরকার’ বিতর্ক: পুলিশি নিরাপত্তা চাইল হলমালিকরা]
নৌহাট্টা এলাকার জামিয়া মসজিদের বাইরে এই ঘটনাতে পুলিশ সূত্রে খবর, ওই আধিকারিক এই এলাকাতেই নিজের ডিউটি করছিলেন। নিজের আত্মরক্ষার জন্য শূন্যে গুলিও ছোড়েন তিনি। তবে শেষরক্ষা হয়নি। এদিকে, আয়ুব পণ্ডিত ওই মসজিদ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কর্তব্যরত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই তাঁকে চিনত বলে খবর। তারপরেও এই হামলা কেন চলল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত, এই ঘটনা উপত্যকার পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত করে তোলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.