Advertisement
Advertisement
কুয়ো

বিফলে গেল সব চেষ্টা, মৃত্যু হল ১৫০ ফুট কুয়োর নিচ থেকে উদ্ধার শিশুর

রাজ্যের খোলা থাকা কুয়ো সম্পর্কে রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং-এর।

2-year-old Punjab boy, pulled out of borewell after 110 hours, dies
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:June 11, 2019 3:26 pm
  • Updated:June 11, 2019 3:26 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাজে দিল না কোনও চেষ্টাই। মঙ্গলবার সকাল পাঁচটা ১২ মিনিটে ১৫০ ফুট কুয়োর নিচ থেকে উদ্ধার  করা হয়েছিল ফতেবীর সিং-কে। কিন্তু, প্রাণে বাঁচানো গেল না। গত ৬ জুন বিকেলে পরিত্যক্ত ওই কুয়োতে পড়ে গিয়েছিল সে। ১১০ ঘণ্টা চেষ্টার পর পাঞ্জাবের সাঙরুর এলাকার ভগবানপুরা গ্রামের পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে তাকে উদ্ধার করেন এনডিআরএফ-র সদস্যরা। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় চণ্ডীগড়ের পিজিআইএমইআর হাসপাতালে। চিকিৎসকরা প্রথমে তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানালেও পরে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।

[আরও পড়ুন- দু্র্নীতিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক! আয়কর দপ্তরের ১২ আধিকারিককে সরাল মোদি সরকার]

বিষয়টি জানতে পারার পরেই গভীর শোকপ্রকাশ করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। টুইট করেন, “ছোট্ট ফতেবীর-এর মৃত্যুর খবর পেয়ে খুবই দুঃখ পেয়েছি। ওর পরিবারের লোকেরা যাতে মর্মান্তিক এই ঘটনার সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পান তার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করব। রাজ্যের সমস্ত খোলা কুয়ো সম্পর্কে জেলাশাসকদের কাছে রিপোর্টও তলব করেছি। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

মঙ্গলবার ভোরে শিশুটির মৃত্যুর কথা জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, ২ বছরের ছোট্ট ওই শিশুটির মৃত্যু আগেই হয়েছে বলে দাবি করেন তার দাদু রোহি সিং। অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “ও যখন আর বেঁচেই নেই তখন হাসপাতালে কেন নিয়ে যাওয়া হল ? প্রায় পাঁচদিন ধরে উদ্ধার কাজ চালানো হলেও অত্যাধুনিক জিনিস ব্যবহার করা হয়নি। দড়ির সাহায্যে পরিত্যক্ত ওই কুয়োটি থেকে উপরে তোলা হয় ফতেবীরকে। উপরে ওঠানোর পর দেখা যায় ওর শরীরের অনেক জায়গায় গভীর ক্ষত রয়েছে।”

[আরও পড়ুন- দু্র্নীতিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক! আয়কর দপ্তরের ১২ আধিকারিককে সরাল মোদি সরকার]

গত বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের সময় একমাত্র সন্তান ফতেবীরকে স্থানীয় একটি মাঠে খেলতে নিয়ে গিয়েছিলেন তার মা। সেসময় আচমকা পরিত্যক্ত একটি কুয়োর নিচে পড়ে যায় শিশুটি। তার মা অনেক চেষ্টা করেও রক্ষা করতে পারেনি। কুয়োটির উপরে একটি কাপড় চাপা দেওয়া থাকায় সেটি কারোর নজরে পড়েনি বলেই মনে করা হচ্ছে।

এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েই তাকে উদ্ধারের সবরকম চেষ্টা করেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু, সবাই ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ)। শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে কুয়োটির ১২৫ ফুট গভীর পর্যন্ত অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করে তারা। কিন্তু, সবই চেষ্টাই শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement