সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া এবার উত্তরপ্রদেশে! প্রায় এক বছর ধরে মায়ের মৃতদেহ আগলে বসেছিলেন দুই মেয়ে। কয়েকদিন ধরে তাঁদের কোনও খোঁজ না পাওয়ায় প্রতিবেশীরা খবর দেন আত্মীয়দের। আত্মীয়রা দ্বারস্থ হন পুলিশের। এর পরই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এর আগেও প্রিয়জনের মৃতদেহ আগলে বসে থাকার ঘটনা ঘটেছে দেশে। এবারের ঘটনাটি যোগী রাজ্যের।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে বারাণসী (Varanasi) জেলার মাদারওয়া এলাকায়। সেখানে দুই মেয়ে পল্লবী ত্রিপাঠী (২৭) ও বৈশ্বিক ত্রিপাঠীর (১৭) সঙ্গে থাকতেন মা ঊষাদেবীও (৫২)। ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় ঊষাদেবীর। কিন্তু অর্থের অভাবে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে পারেননি তাঁর দুই মেয়ে। এমনকী এতদিন মায়ের মৃত্যুর খবর ঘুণাক্ষরেও কাউকে টের পেতে দেননি তাঁরা। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে তাঁদের কোনও খোঁজ না পাওয়ায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের।
এই বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে ওই পরিবারের কারও কোনও খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ির দরজাও বন্ধ ছিল। এতেই সন্দেহ হয় আশাপাশের বাড়ির সদস্যদের। এর পরই পল্লবী ও বৈশ্বিকের আত্মীয়দের খবর দেন তাঁরা। আত্মীয়রা এসে পুলিশকে খবর দিলে গোটা ঘটনা সকলের সামনে আসে। পুলিশ এসে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করে। তখন মায়ের মৃতদেহের সামনেই বসেছিলেন দুই বোন। জানা গিয়েছে, দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে ধূপকাঠি ব্যবহার করতেন তাঁরা। দুই বোনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের জুনে প্রকাশ্যে আসে রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ড। পড়শিদের অভিযোগে একটি বাড়িতে গিয়ে পুলিশ আবিষ্কার করে যে দিদির কঙ্কালের সঙ্গে ভাবলেশহীনভাবে বাস করছিলেন পার্থ দে নামের এক ব্যক্তি। ঘটনায় শিহরিত হয়েছিলেন শহরবাসী। পার্থকে সারিয়ে তোলারও চেষ্টা করা হয়েছিল। মাদার হাউসে কিছুদিন কাটিয়েছিলেনও তিনি। তার পর অন্য একটি ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেন। সেখানেই অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয় পার্থর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.