প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দু’টি আলাদা এনকাউন্টারে অসমে (Assam) মৃত্যু হল ধর্ষণে (Rape) অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, পুলিশ হেফাজত থেকে পালাতে গিয়েই মৃত্যু হয় ওই দুই অভিযুক্তর। মঙ্গলবার রাত এবং বুধবার সকালে ঘটনা দুটি ঘটেছে গুয়াহাটি ও উদলগিরিতে।
উদলগিরিতে এনকাউন্টারে মারা যায় ৩৮ বছরের রাজেশ মুন্ডা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সাত বছরের এক শিশুকন্য়াকে ধর্ষণ করে খুন করার। সে পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে গুলি করা হয়। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে আরেক অভিযুক্ত গুয়াহাটির বিকি আলিকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাকে ঘিরে ছিল পুলিশ বাহিনী। অপরাধের ঘটনার পুনর্নির্মাণের উদ্দেশ্যেই তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপরই সে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশের উপরে। পুলিশ গুলি চালালে সেখানেই লুটিয়ে পড়ে বিকি। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসাতালের সুপারিটেন্ডেন্ট অভিজিৎ শর্মা জানিয়েছেন, বিকির শরীরে চারটি ক্ষতচিহ্ন দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে একটি বুকে ও বাকিগুলি পিঠে। তিনি জানিয়েছেন, রাত ১টা নাগাদ বিকিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
বিকির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ১৬ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের। সে একা নয়, তার সঙ্গে আরও তিনজন ছিল। মঙ্গলবারই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ ও পরে তাকে ধর্ষণের ঘটনা দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে ফের তার শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এরপর থেকেই উল্লেখযোগ্য ভাবে এনকাউন্টারের সংখ্যা বেড়েছে ওই রাজ্যে। আসলে মসনদে বসার পরে হিমন্ত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন প্রয়োজন পড়লে অপরাধীদের পায়ে গুলি করতে হবে, যদি তারা পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.