ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জানুয়ারির ১৮ তারিখ দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিচারক। আর পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী তাদের ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনালেন। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিলেন দিল্লির কারকারডোমার বিশেষ POCSO আদালতের বিচারক নরেশ কুমার মালহোত্রা।
নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডের কয়েকমাস বাদে ২০১৩ সালের ১৫ এপ্রিল গুড়িয়াকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে মনোজ শাহ ও প্রদীপ কুমার। ঘটনাটি ঘটেছিল পূর্ব দিল্লির গান্ধী নগর এলাকায়। ধর্ষণের পরে ওই শিশুর যৌনাঙ্গে তেলের শিশি ও মোমবাতি ঢুকিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল ধর্ষকরা। তারপর সে মরে গিয়েছে ভেবে মনোজ শাহের ঘরে রেখে তালাবন্ধ করে পালিয়ে যায়। প্রায় দুদিন বাদে এপ্রিলের ১৭ তারিখ বন্ধ ঘর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভরতি থাকার পর সুস্থ হয় ওই শিশুকন্যা।
এরপর দীর্ঘ ছবছর ধরে মামলা চলে। সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখার পর গত ১৮ তারিখ মনোজ শাহ ও প্রদীপ কুমারকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। আর সেই সময় এই ধর্ষণের ঘটনাকে নৃশংসতার উদাহরণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। চূড়ান্ত পাশবিক এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘এই ঘটনা আমাদের সবাইকে মারাত্মক নাড়া দিয়ে গিয়েছে। আমাদের সমাজে যেখানে শিশুকন্যা ও নাবালিকাদের দেবী জ্ঞানে পুজো করা হয় সেখানে এই ঘটনা খুবই পৈশাচিক। পাঁচ বছরের ওই শিশুর ওপর খুবই নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়েছিল। বর্বরোচিত এই ঘটনাকে কোনওভাবে ক্ষমা করা যায় না।’ তাঁর এই মন্তব্যের পরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে দুই ধর্ষককে খুবই কঠোর সাজা দিতে চলেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই জল্পনাই সত্যি হল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৮ তারিখ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ওই দুই যুবককে জেল হেফাজতে নিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরা। তখন তাদের ছবি তুলছিলেন আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকরা। আচমকা এক ধর্ষক সামনে এগিয়ে এসে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। তাঁদের হাত থেকে মোবাইল ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় আদালত চত্ত্বরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.