সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে গলল বরফ। দুমাস ধরে স্নায়ুযুদ্ধের পর সোমবার পিছু হঠল লালফৌজ। কিন্তু কেন আচমকা সেনা সরাতে রাজি হল ড্রাগন? কে আছে এর নেপথ্য? ভারত-চিন উত্তেজনায় রাশ টানা দায়িত্ব পেয়েছিলেন মোাদি সরকারের আস্থাভাজন অজিত দোভালই (Ajit Doval)। রবিবার রাতে চিনের প্রতিনিধির সঙ্গে টানা দুঘণ্টা আলোচনা সারেন তিনি। এরপরই সোমবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার গালওয়ান উপত্যকা সেনা কিছুটা সরিয়ে নিতে রাজি হয় লালফৌজ (PLA)।
সূত্র মারফত খবর মিলেছিল, ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনায় লাগাম পরাতে এবার বিশেষ প্রতিনিধি নিয়োগ করছে সাউথ ব্লক (South Block)। তিনিই বেজিংয়ের (Bejing) সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা চালাবেন। এক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত দোভালেই (Ajit Doval) মোদী সরকার আস্থাশীল তা বলাই বাহুল্য। এর আগে ৩৭৭ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীরের পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন তিনি। আবার মাঠে নেমে দিল্লির হিংসা সামলেছিলেন সেই দোভালই। তাই এবারও সময় নষ্ট না করে কাজ শুরু করে দেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA)। শুরু হয় আলোচনা। বিষয়বস্তু হল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) থেকে বাড়তি সেনা প্রত্যাহার ও উত্তেজনা কমানো।
রবিবার লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের (Ajit Doval) সঙ্গে কথা হয়েছে চিনা স্টেট কাউন্সিলর তথা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-য়ের। ‘বিস্তারিত ও খোলামেলা’ আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির জন্য উভয় দেশেই সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। উভয়েরই মত, দু দেশের মধ্যে মতভেদ থাকতেই পারে, তা বলে তাকে বিরোধে পরিণত করা উচিৎ নয়। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ফোনে ওয়াং ই-য়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
সোমবার বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ‘শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরাতে নিয়ন্ত্রণরেখা ও ভারত-চিন সীমান্ত থেকে দ্রুত সেনা সরাতে হবে, উভয়ই এই বিষয়ে সহমতে পৌঁচেছেন। তাই নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়াটি দ্রুত ম্পন্ন করতে হবে।’ অবশেষে দোভালের কেরামতিতে গলল দুদেশের সম্পর্কের বরফ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.