সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে নেমে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারালেন অন্তত ৩ জন। গত সপ্তাহে যদিও অসমে পুলিশের গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর চলতি সপ্তাহের প্রথম থেকেই বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। লখনউয়ের পর বৃহস্পতিবার রাতের দিকে ম্যাঙ্গালুরুতেও জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে ২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ আচমকাই লখনউয়ে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ, যার মূল টার্গেট ছিল পুলিশ। ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে, বাস জ্বালিয়ে, প্রকাশ্য রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি চালালে, মহম্মদ উকিল নামে একজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে, বেঙ্গালুরু-সহ দক্ষিণ ভারতের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় জারি হয় কারফিউ। ম্যাঙ্গালুরুতে কারফিউ চলাকালীন রাস্তায় সন্ধে নাগাদ CAA বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ২০ জন পুলিশকর্মী। বিক্ষোভ দমনে পুলিশ প্রথমে শূন্যে গুলি চালায়। কিন্তু পরে পুলিশের গুলিতেই ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতেই বেঙ্গালুরুতে CAA বিরোধী মিছিলের পর আটক করা হয় ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহকে। তার জেরে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠায় জায়গায় জায়গায় কারফিউ জারি করা হয়। সন্ধের পর কারফিউ অগ্রাহ্য করেই ফের ম্যাঙ্গালুরুতে বিক্ষোভে শামিল হন অনেকে। সেখান থেকেই এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি। যদিও পুলিশ প্রশাসনের দাবি, পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে দেখেই গুলিচালনা হয়েছিল। তবে তাতে মৃত্যুর ঘটনা কার্যত দক্ষিণ ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের আগুনে ঘৃতাহুতি দিল।
এই ঘটনার পর ম্যাঙ্গালুরুতে কারফিউয়ের সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে। আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বেঙ্গালুরু, মাইসোর, হুবলি, বেল্লারি-সহ একাধিক শহরে CAA বিরোধী প্রতিবাদে শামিল হওয়ায় বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। সমস্ত স্পর্শকাতর এলাকায় জারি রয়েছে কারফিউ। তবে ম্যাঙ্গালুরুতে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর পর সাধারণ মানুষজন যে কোনও বাধাই আর মানছেন না, বরং আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি, তাও এতক্ষণে বেশ স্পষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.