সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু দুজনের। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা। তছনছ হয়ে গিয়েছে এলাকার শতাধিক দোকানপাট ও গাড়ি। এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ, ব়্যাফ।
[ইন্দোরে শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিল আদালত]
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জলের লাইন বন্ধ করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে। অবৈধভাবে জল নেওয়ায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জল পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল ঔরঙ্গাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশন। সূত্রের খবর, সমগ্র এলাকায় ছড়িয়ে গিয়েছিল, এই জলের লাইন বন্ধের পিছনে রয়েছে অন্য একটি গোষ্ঠীর উস্কানি। এরপরেই পরিস্থিতি ভয়ানক চেহারা নিতে শুরু করেছিল বলে জানা গিয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মহারাষ্ট্র পুলিশের বিশাল বাহিনী। নামানো হয় ব়্যাফ।
Police deployed in #Maharashtra‘s Aurangabad after clash between two groups last night. Section 144 (prohibits assembly of more than 4 people in an area) has been imposed in the city. pic.twitter.com/JPwd1evPxU
— ANI (@ANI) May 12, 2018
[চলতি মাসের শেষে দেশজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট, সমস্যায় আমজনতা]
যে ছবি এতদিন প্রত্যক্ষ করা যেত জম্মু-কাশ্মীরে সেই ছবিই এরপর থেকে দেখা যেতে শুরু করেছিল মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে। জানা গিয়েছে, হাতে পাথর নিয়ে রাস্তায় ঘুরতে শুরু করেছিল দুই গোষ্ঠীর যুবকরা। পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের দিকে এলোপাথাড়ি পাথর হামলা চালাতে শুরু করে তারা। পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা ঘটনা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে। ফলে শনিবার সকালে বাধ্য হয়েই গুলি চালাতে হয় পুলিশকে। এখনও পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তারমধ্যে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে আবদুল কাদির নামের এক ব্যক্তির। অন্যজনের মৃত্যু হয়েছে আগুনে পুড়ে। জগনলাল বনশাল নামের সেই ব্যক্তিকে দোকানের ভিতরে ঢুকিয়ে দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার নেপথ্যের আসল কারণ এখনও জানা যায়নি, তবে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.