ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৭০ ধারা বাতিলের পর কাশ্মীরি মেয়ে বিয়ে করেছিলেন বিহারের সুপলের রামবিসনপুর গ্রামের বাসিন্দা সম্পর্কে দু’ভাই মহম্মদ তবরেজ ও মহম্মদ পারভেজ। কিন্তু এই বিয়েই তাঁদের জীবনে ডেকে আনল চরম বিপদ। অপহরণের অভিযোগে কারবাসে যেতে হল পেশায় রাজমিস্ত্রী এই দুই ভাইকে।
[ আরও পড়িন: প্রকাশিত এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা, নাম বাদ গেল ১৯ লক্ষ মানুষের ]
জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে কাশ্মীরে থাকার সময় কাশ্মীরের রামবানের বাসিন্দা একই পরিবারের দুই বোনকে বিয়ে করেছিলেন দু’ভাই মহম্মদ তবরেজ ও মহম্মদ পারভেজ। বিয়ের পরে সস্ত্রীক গ্রামে ফিরে আসেন তাঁরা। কিন্তু এই বিয়ে মেনে নেয়নি মেয়ে দু’টির পরিবার। বাড়ির মেয়েদের অপহরণের অভিযোগে দু’ভাইয়ের বিরুদ্ধে কাশ্মীরের নাগমা বানিহল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই দুই বোনের বাবা। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। বিয়ের পরে ২৫ দিনের মাথায় অপহরণ ও ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে পুলিশ আটক করেছে চারজনকেই। জোড়া দম্পতি এখন রয়েছে পুলিশি হেফাজতে।
[ আরও পড়িন: NRC চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে আতঙ্কে বাঙালিরা, থমথমে বরাক উপত্যকা ]
একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশ্মীর পুলিশের একটি দল সাব-ইনস্পেকটর সামিরের নেতৃত্বে বুধবার পৌঁছয় বিহারের সুপাৌল। এর পরে স্থানীয় পুলিশের সাহায্যে এই দলটি রামবিসনপুরের বাড়ি থেকে তাবরেজ ও পারওয়েজকে আটক করে। বুধবারই তাঁদের সুপলের কোর্টে তোলা হয়। নথিভুক্ত করা হয় ওই দুই বোনেরও বয়ান। আদালতে ওই দুই বোন জানান, তাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক। নিজেদের ইচ্ছেতেই তাঁরা তবরেজ ও পারভেজকে বিয়ে করেছেন। স্থানীয় আদালত এই চারজনকেই ট্রানজিট রিমান্ডে কাশ্মীর নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়। তবরেজ বলেছেন, ৩৭০ ধারা রদ হতেই আমরা জানতে পারি, এবার থেকে যে কেউ কাশ্মীরের মেয়েকে বিয়ে করে কাশ্মীরেই পাকাপাকিভাবে থাকতে পারবে। আমরা তখনই মুসলিম রীতি অনুসারে নিকাহ করি। তবরেজ ও পারভেজ বিশ্বাস করেন, অচিরেই এই জটিলতা দূর হয়ে যাবে। পুলিশ জানিয়েছে, শ্রীনগরের আদালতে এই চারজনের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.