সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুনেতে ফের জিকা ভাইরাসের আতঙ্ক। এবার সংক্রমণের শিকার এক গর্ভবতী মহিলা। গত ১০ দিনে ৫ জন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে পুণের ইরান্ডওয়ান এলাকায়। মশাবাহিত এই রোগের সেভাবে কোনও চিকিৎসা না থাকায় চিন্তায় স্বাস্থ্যকর্তারা।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ইরান্ডওয়ানে এলাকায় দু’জনের শরীরে জিকা ভাইরাসের (Zika Virus) সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। এর পরই ওই এলাকায় তৎপর হয়ে ওঠেন স্বাস্থ্য কর্তারা। জিকার প্রাথমিক লক্ষণ চোখে পড়ায় ৩ গর্ভবতী মহিলার রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে (NIV)। সেখান থেকেই খবর আগে গর্ভবতী ৩ মহিলার মধ্যে একজন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত। ইতিমধ্যেই ওই মহিলাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গোটা এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ছড়ায় জিকা ভাইরস। সাধারণত কোনও গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করে না, তবে কোনও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। গর্ভবতী মহিলা এই ভাইরাসে সংক্রামিত হলে ভ্রূণের মাইক্রোসেফালি অর্থাৎ শিশুর মাথা স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হতে পারে। অসম্পূর্ণ মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাতে পারে শিশু। এছাড়াও আরও নানান সমস্যা হতে পারে গর্ভস্থ শিশুর। চিকিৎসকদের দাবি, জিকা একটি মশাবাহিত রোগ। সাধারণত এডিস মশা থেকে ছড়ায় এই ভাইরাস। যার সংক্রমণ যৌনসম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ভাইরাসের অন্যতম উপসর্গ জ্বর। ৮০ শতাংশের বেশি জিকা ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের ক্ষেত্রে প্রথম উপসর্গই জ্বর। এছাড়াও শরীরে র্যাশ দেখতে পাওয়া যায়। কারও কারও আবার শ্বাসকষ্টও হয়। সেভাবে কোনও চিকিৎসা নেই এই রোগের। লক্ষ্মণ অনুযায়ী প্যারাসিটামলের মতো ওষুধে এর চিকিৎসা চলে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত পুণেতে মোট ৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ইরান্ডওয়ানে এলাকায় এই নিয়ে ৩ জন ও দুজন আক্রান্ত হয়েছেন মুন্ধওয়া এলাকায়। ইরান্ডওয়ানে এর আগে যে দুজন আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদেরই প্রতিবেশী ছিলেন সদ্য আক্রান্ত এই গর্ভবতী মহিলা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.