সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৪ বছর পর মিলল ন্যায়বিচার৷ অবশেষে ১৯৮৪ শিখ দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্ত দুজনের সাজা ঘোষণা৷ মঙ্গলবার দোষীদের একজনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল আদালত৷ আরেক অপরাধীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হল৷
জানা গিয়েছে, এদিন দোষী সাব্যস্ত যশপাল সিংকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে পাটিয়ালা হাউস আদালত৷ যাবজ্জীবন জেলের সাজা দেওয়া হয়েছে নরেশ সেহরাওতকে৷ এই সাজা ঘোষণা করেন বিচারক অজয় পাণ্ডে৷ কয়েক বছর ধরে চলা মামলাটির রায় বেরনোর কথা ছিল ১৫ নভেম্বর৷ তবে উভয়পক্ষের যুক্তি শোনার পর ২০ নভেম্বর সাজা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আদালত৷ নিরাপত্তার খাতিরে নেওয়া হয়েছিল এই সিদ্ধান্ত৷ বিচারপ্রার্থীদের অভিযোগ, ‘৮৪-তে রাজধানীর বুকে যে হামলা হয়েছিল তা নরসংহারেরই শামিল৷ এই ঘটনাকে জঘন্য বললেও কম বলা হয়৷ অভিযুক্তদের পক্ষে আইনজীবী পালটা যুক্তি দেন, কোনও ঐচ্ছিক গণহত্যা নয়, ওই ঘটনা ক্ষণিকের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ৷
উল্লেখ্য, ইন্ধিরা গান্ধীর হত্যার পর দেশজুড়ে শিখদের হত্যালীলায় এই প্রথম সাজা ঘোষণা করা হল৷ নারকীয় শিখ বিরোধী দাঙ্গায় এই প্রথম এসআইটি-র রিপোর্টের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত হল দুই৷ যদিও কংগ্রেস নেতা জগদীশ টাইটলার-সহ একাধিক রাঘব বোয়াল প্রমাণের অভাবে আজও ধরা ছোঁয়ার বাইরে৷ এ নিয়ে বহু বিতর্ক দেখা দিলেও ইউপিএ এক ও দুই আমলে অজ্ঞাত কারণে থিতিয়ে যায় এসআইটি-র তদন্ত৷ সম্প্রতি প্রাক্তন ক্রিকেটার ও পাঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু গোধরা দাঙ্গা নিয়ে মুখ খোলেন৷ যদিও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর রাজধানী দিল্লিতে কংগ্রেস সমর্থকদের দ্বারা সংগঠিত শিখ গণহত্যার প্রশ্ন সকৌশলে এড়িয়ে যান তিনি৷ আজও এই প্রসঙ্গ উঠে এলে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন কং নেতারা৷