সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৬৫’র ভারত-পাক যুদ্ধে ভারতের জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। ছয়ের দশকের ভয়ঙ্করতম সমরাস্ত্র প্যাটন ট্যাঙ্ক ধ্বংস করার পদ্ধতি খুঁজে বের করার কৃতিত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। বলা হয়, আবদুল হামিদের বীরত্ব এবং প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব রাতারাতি বদলে দিয়েছিল ভারত-পাক যুদ্ধের ভাগ্য। সেই শহিদের নামের স্কুলের নাম বদলের চেষ্টা উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে। স্থানীয়দের বিক্ষোভে অবশ্য পিছু হটতে বাধ্য হল যোগী প্রশাসন।
উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের ধামুপুর গ্রামে থাকতেন শহিদ আবদুল হামিদ। গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের নামও ছিল তাঁর নামেই। কিন্তু দিন পাঁচেক আগে ওই স্কুলে রং করার সময় স্কুলের মূল ফটক থেকে ‘শহীদ বীর আবদুল হামিদ স্কুল’ নামটি মুছে দেওয়া হয়। মনে করা হচ্ছে যোগী সরকারের শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশেই ওই স্কুলের নামবদলের চেষ্টা হয়েছিল। হামিদের পরিবার বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের নজরে আনে। নাম বদল চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানায়।
স্থানীয়রাও বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। এমনকী সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবও এ নিয়ে সরব হন। অখিলেশ বলেন, “যারা দেশের জন্য আত্মবলিদান দিয়েছেন, তাঁদের থেকে অন্য কাউকে এভাবে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়াটা খুব দুঃখজনক। এরপর কোন দিন দেখব, কেউ গোটা দেশটার নামই বদলে বিজেপি করে দিয়েছে।” রাজনৈতিক চাপ এবং স্থানীয়দের বিক্ষোভে প্রশাসন পিছু হটে। মঙ্গলবার হামিদের গ্রামের স্কুলের নাম ফের বদল করা হয়েছে। আবারও নামের সঙ্গে যোগ হয়েছে আবদুল হামিদের নাম। এখন স্কুলটির নাম ‘বীর শহিদ আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী কমপোজিট স্কুল’।
ছয়ের দশকে দুনিয়ার ভয়ংকরতম যুদ্ধ ট্যাঙ্ক ছিল মার্কিন প্যাটন ট্যাঙ্ক। পাকিস্তান সেনা ১৯৬৫ সালে সেই ট্যাঙ্কে সজ্জিত ছিল! একার হাতে বহু প্যাটন ট্যাঙ্ক রুখে দেওয়ার কৃতিত্ব দেওয়া হয় আবদুল হামিদকে। যুদ্ধক্ষেত্রেই তাঁর প্রাণ যায়। পরে তাঁকে মরণোত্তর পরমবীর চক্র দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.