সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে পানপাতা বিদেশে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু বিমানের রপ্তানির ক্ষেত্রে গুনতে হচ্ছে ১৮ শতাংশ জিএসটি (GST)। আর তার জেরে সমস্যায় পড়েছে ওই পাতার রপ্তানি। রপ্তানিকারীদের ভয়, এইভাবে চলতে থাকলে পড়শি রাষ্ট্র বাংলাদেশ পানপাতার রপ্তানিতে ভারতকে পিছনে ফেলে দিতে পারে!
প্রসঙ্গত, ভারতীয় পানপাতার (Betel leaf) সবচেয়ে বড় ক্রেতা ব্রিটেন। প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে পানপাতা এদেশ থেকে ব্রিটেনে যায়। এর আগে পাকিস্তান থেকেও প্রচুর পানপাতা আমদানি করা হত ভারত থেকে। কেরল ও অন্যান্য রাজ্য থেকে পানপাতা সেখানে পাঠানো হত। কিন্তু কার্গিল যুদ্ধের পর পরিস্থিতি বদলায়। দুই দেশের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে চলে যাওয়ার পর থেকে কমতে কমতে একেবারে বন্ধই হয়ে যায় পানপাতার রপ্তানি। কিন্তু এশীয়দের প্রভূত পরিমাণে বাসের কারণে পানপাতার চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়তে ব্রিটেনে। যা পূরণ করত ভারতই। কিন্তু এই মুহূর্তে জিএসটির ধাক্কায় সেই রপ্তানির ভবিষ্যৎ বিপন্ন।
ভারতে পানের বাজারের নিউক্লিয়াস কিন্তু কলকাতা। এখান থেকে বহু দেশেই পানপাতা রপ্তানি করা হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও ব্রিটেন, সৌদি আরব, ওমান কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভারতের পানপাতার বিপুল চাহিদা। ২০২২ অর্থবর্ষে ভারত ৬.১৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পানপাতা রপ্তানি করা হয়েছে। যা গত অর্থবর্ষের প্রায় দ্বিগুণ। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, জিএসটির গেরো না থাকলে এই অঙ্কটা আরও বাড়ত। মজার কথা, পানপাতায় কিন্তু কোনও জিএসটি লাগে না। কেবল আকাশপথে অন্য দেশে পাঠাতে হলেই জিএসটি ধার্য করা হয়।
উল্লেখ্য, ভারতের পানপাতার মধ্যে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতিকে ঘিরে বিতর্ক রয়েছে। ব্রিটেন ও ইউরোপের গবেষকরা পরীক্ষা করে সেখানে ওই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পেয়েছেন। কিন্তু এতদসত্ত্বেও পানপাতার চাহিদা রয়েই গিয়েছে। কিন্তু সমস্যা তৈরি করছে ১৮ শতাংশ জিএসটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.