নন্দিতা রায় এবং রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) ঘটনা নিয়ে এবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হচ্ছে বঙ্গ বিজেপির সাংসদরা (BJP MP)। রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিচ্ছে রাজ্যের ১৮ জন বিজেপি সাংসদ। বিজেপির অভিযোগ, গত এক মাসে তাদের ৪০ জন কর্মী খুন হয়েছে। ৬০ হাজার ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ১ লক্ষ সমর্থক ঘর ছাড়া। এদিকে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দিল্লিতে ডেকে পাঠাল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সোমবার রাতে কলকাতা থেকে রওনা দিয়েছেন তিনি।
ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনাকে বড় ইস্যু করে রাজ্যের শাসকদলকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির। সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজেপি নেতারা সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দিল্লিতে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিজেপি নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলার ঘরছাড়াদের অবিলম্বে ঘরে ফেরাতে হবে। রবিবার হওয়া এই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।
বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন, “খুব শীঘ্রই রাষ্ট্রপতির কাছে যাবেন তাঁরা।” এদিকে, তৃনমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির কড়া সমালোচনা করেছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, গঠনমূলক বিরোধিতা করার জন্য। রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় পালটা বলেন, “বিজেপি গঠনমূলক বিরোধিতাই করবে। তবে এই নয় যে বিজেপির একের পর এক কর্মীকে খুন করা হবে।” রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর বক্তব্য, “কুৎসা তৃণমূলই করে। শুভেন্দু অধিকারী কোনও কুৎসা কখনও করেননি।”
উল্লেখ্য, শনিবার ও রবিবার বাংলার ভোটের ফলাফল নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক করে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। হাজির ছিলেন মোদি-শাহ জুটিও। এর পর সোমবারই তড়িঘড়ি বাংলার বিরোধী দলনেতাকে ডেকে পাঠানো হল দিল্লিতে। সূত্রের খবর, বাংলার প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি কীভাবে কাজ করবে, সে বিষয় স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতেই শুভেন্দুকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.