সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও পরিবর্তন হয়নি বিহার ও অসমের পরিস্থিতির। এখনও পর্যন্ত বন্যার জেরে দুটি রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১৭০ জন মানুষ। আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ১ কোটি সাত লক্ষের বেশি। সোমবার মুজাফ্ফরপুরে আরও দু’জনের মৃত্যুর ফলে বিহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪-এ। অন্যদিকে, ধুবরি ও ধেমাজি জেলায় দু’জনের মৃত্যু হওয়ার জেরে অসমে সংখ্যাটি গিয়ে পৌঁছেছে ৬৬টিতে। পাশাপাশি প্লাবিত হওয়ার কারণে কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের ১৬টি গন্ডার-সহ মোট ১৮৭টি প্রাণী মারা গিয়েছে বলে খবর বনদপ্তর সূত্রে।
বিহার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নেপালে প্রবল বৃষ্টির কারণে বিহারে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নেপাল থেকে আসা বাগমতী নদী ছাড়া মহানদী ও কোশি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এর জেরে বিহারের ১২টি জেলা সীতামারি, মধুবনী, আরারিয়া, শেহর, দ্বারভাঙা, পূর্ণিয়া, কিষাণগঞ্জ, সুপাল, পূর্ব চম্পারণ, মুজাফ্ফপুর, সহর্সা ও কাটিহারের পরিস্থিতি সঙ্গীন হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৬ লক্ষ ৮৫ হাজারের বেশি। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এছাড়া বন্যাদুর্গত এলাকাগুলিতে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১২৫টি বোট করে ঘুরছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
অসম প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে বন্যাদুর্গত মানুষের সংখ্যা ৩০ লক্ষ ৫৫ হাজার। ইতিমধ্যে গৃহহীন হয়ে পড়া ৯৬ হাজার ৮৯০ জন মানুষ বিভিন্ন জেলার ৭৫৭টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। ২,২৮৩টি গ্রাম ও একলক্ষ ১৪ হাজার হেক্টর কৃষিজমি জলের তলায় রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রর নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার জেরে জোরহাট, ধুবরি, শোণিতপুর ও নওগাঁও জেলার অবস্থা খুব খারাপ। এই জেলাগুলির বিভিন্ন জায়গায় নদীর জল রাস্তায় উঠে পড়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.