সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের উপর অভূতপূর্ব সংকট। এবার নিরুদ্দেশ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়ক। এঁদের মধ্যে আবার ৫ জন রাজ্যের মন্ত্রীও আছেন। এঁরা প্রত্যেকেই মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের (Kamal Nath) উপর অসন্তুষ্ট। ফলে রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে রীতিমতো বিপাকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
মধ্যপ্রদেশের যাবতীয় নাটকের সূচনা হয়েছিল মার্চের শুরুর দিনই। রাতারাতি কংগ্রেস এবং জোটসঙ্গীদের ১০ জন বিধায়ক মধ্যপ্রদেশ থেকে উধাও হয়ে যান। কংগ্রেস অভিযোগ করে, ওই বিধায়কদের গুরগাঁওয়ের একটি হোটেলে আটকে রেখেছে বিজেপি। পরে ওই ১০ জনের মধ্যে ৬ জনকে ‘উদ্ধার’ করে কংগ্রেস নেতৃত্ব। বাকি দু’জন বিধায়ক ফিরে এসে কংগ্রেসকেই সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন। এখনও ওই দশজনের মধ্যে ২ জন নিরুদ্দেশ হয়ে আছেন। এরই মধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) ঘনিষ্ঠ অন্তত ১৭ জন বিধায়ক নিখোঁজ হয়ে গেলেন। এঁদের কারও সাথে ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সূত্রের খবর, এঁরা প্রত্যেকেই বিজেপি শাসিত কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন। এবং কর্ণাটকের একজন বিজেপি বিধায়কই এঁদের খাতির-যত্নের দায়িত্ব পেয়েছেন। যদিও, এ বিষয়ে পোক্ত কোনও খবর মেলেনি।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই সিন্ধিয়া এবং কমলনাথের মধ্যে একটি অঘোষিত বাক-যুদ্ধ চলছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের পাঁচ মন্ত্রী-সহ সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের নিখোঁজ হয়ে যাওয়াটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কংগ্রেসের অভিযোগ এঁর পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। তা যদি থেকে থাকে, তাহলে এবার সত্যিই গুরুতর সংকটে পড়ে যাবে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার। যদিও রাজনৈতিক মহল মনে করছে এতে বিজেপির কোনও হাত নেই। পুরোটাই কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খেলা। আসলে রাজ্যের দুই হেভিওয়েট নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং দিগ্বিজয় সিং রাজ্যসভার টিকিট নিশ্চিত করার জন্যই নিজেদের অনুগামীদের দিয়ে এই খেলাটা খেলাচ্ছেন।
এদিকে, এই টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। তিনি জানিয়েছেন, ভোপালে গিয়ে অন্য সব নেতার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করবেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এর মধ্যেই আবার বিজেপি রাজ্যসভার সবকটি আসনের জন্য মনোনয়ন তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও, বিধানসভায় নিজেদের শক্তিতে একটি মাত্র আসন জেতার ক্ষমতা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.