ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খোদ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের ঘোষণা করা প্রকল্প। দেশের প্রত্যেক গরিব মানুষের মাসে ৫ কেজি খাদ্যশস্য এবং ১ কেজি ডাল পাওয়ার কথা বিনামূল্যে। অথচ মে মাসে সেই প্রকল্পের সুবিধা থেকে এখনও পর্যন্ত বঞ্চিত ১৭ কোটি মানুষ! যার দায় এখন বাংলা এবং দিল্লি এই দুই রাজ্যের উপর চাপাচ্ছে কেন্দ্র। এমনটাই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।
লকডাউনে রোজগার বন্ধ। যার জেরে চরম অসহায় পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ। গরিব মানুষের দুর্ভোগ কমাতে প্রথম দফার লকডাউনের সময় ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’ (PMGKAY) নামের একটি প্রকল্প ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। মোদি সরকার প্রথম যে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটির আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল, তাঁর অংশ হিসেবেই এই প্রকল্পটি ঘোষণা করা হয়। এর আওতায় ৮০ কোটি ভারতবাসীকে মাসে অতিরিক্ত ৫ কেজি চাল এবং ১ কেজি ডাল বিনামূল্যে দেওয়ার কথা সরকারের। খাদ্য সুরক্ষা আইনের (NFSA) অধীনে রেশন কার্ড থাকলেই এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার কথা। কিন্তু কেন্দ্রীয় খাদ্য ও ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের সব গরিব মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। এপ্রিল মাসে খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় থাকা প্রায় ৭ কোটি মানুষের কাছে এই অতিরিক্ত খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়া যায়নি। আর মে মাসে এখনও পর্যন্ত (গত ২৮ মে পর্যন্ত) ১৭ কোটি মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাননি। গত ২৮ মে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী খাদ্য সুরক্ষা যোজনার আওতায় থাকা ৭৮ শতাংশ মানুষের কাছে এই অতিরিক্ত খাদ্যশস্য পৌঁছেছে। অর্থাৎ মোট ৬২ কোটির কিছু মানুষ এর সুবিধা পেয়েছেন। পাননি আরও ১৭ কোটির বেশি মানুষ।
এর দায় অবশ্য নিজেদের ঘাড়ে নিতে নারাজ কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের (Ram Vilas Paswan) দাবি,”বাংলা এবং দিল্লি প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায় এপ্রিল মাসের খাদ্যশস্য বিতরণ করেছে। এপ্রিলে দিল্লিতে ৯৬ শতাংশ এবং বাংলায় ৯৩ শতাংশ মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। কিন্তু মে মাসে এই দুই রাজ্যেই খাদ্যশস্য বিলি হয়েছে শূন্য শতাংশ।” কেন্দ্রের দাবি, বাংলা এবং দিল্লি বাদে বাকি সব রাজ্যই হয় আংশিক বা পুরোপুরিভাবে অতিরিক্ত রেশন পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। শুধু এই দুই রাজ্যই পুরোপুরি ব্যর্থ। এ বিষয়ে রাজ্যের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.