সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রমোদভ্রমণে বেরিয়ে প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন ১৬ জন পর্যটন। কেরলের আলাপ্পুঝার কাছে একটি হাউজবোটে আচমকাই আগুন লেগে যায়। প্রাণে বাঁচতে হাউজবোট থেকে ঝাঁপ দিলেন পর্যটকরা। কেরলের আলাপ্পুঝায় পাথিরা মানাল দ্বীপের দুর্ঘটনায় সকলকেই উদ্ধার করা হয়েছে নিরাপদে। যার মধ্যে রয়েছে ৬ মাসের এক শিশুও। নৌচালক বলছেন, এভাবে বেঁচে যাওয়া ‘অলৌকিক ঘটনা’।
বৃহস্পতিবার কেরলের কান্নুর থেকে ১৬ জনের একটি পর্যটক দল একটি বিলাসবহুল হাউজবোট ভাড়া করেছিলেন। কুমারাকোম থেকে তাঁদের গন্তব্য ছিল আলাপ্পুঝার কাছে পাথিরামান্নাল দ্বীপ। ভেম্বানাদ লেকের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পথে আচমকাই আগুন লেগে যায় হাউজবোটটিতে। হ্রদের ঠান্ডা হাওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়াতে থাকে। বিপদ বুঝে পর্যটকরা সকলে জলে ঝাঁপিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন। ৬ মাসের সন্তানকে আঁকড়ে ধরে লাফিয়ে পড়েন বাবাও। সাঁতরে নিরাপদ স্থানে পৌঁছনোর হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ওদিকে, হাউজবোটের দাউদাউ আগুন আর ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
আগুন থেকে বাঁচতে জলে ঝাঁপ দেওয়া সত্ত্বেও বড়সড় বিপদই ঘটে যেতে পারত, যদি না কাছাকাছি সরকারি একটি লঞ্চ থাকত। কেরলের জলপথ পরিবহণের একটি লঞ্চ সেসময় ভেম্বানাদ লেকের আশেপাশেই ঘুরছিল। দূরের হাউজবোটের আগুন এবং পর্যটকদের জলে ঝাঁপ দেওয়ার দৃশ্য লঞ্চে থাকা কর্মীদের নজরে পড়ে। তাঁরা এগিয়ে গিয়ে সকলকে উদ্ধার করে। তখনও বাবার দু’হাতের মধ্যে নিশ্চিন্তেই ছিল ছ’মাসের খুদে। বিপদের এতটুকু আঁচও তার গায়ে লাগতে দেননি বাবা। শেষ পর্যন্ত ১৬ জনকেই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি দপ্তর। ভেম্বানাদ লেকটি তেমন গভীর নয়। তাই ঝাঁপ দেওয়া সত্ত্বেও কারও মৃত্যু হয়নি বলে মনে করছেন পর্যটকরা।
হাউজবোটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকে অথবা নৌকাটির স্টোর থেকে গ্যাস লিক করার ফলে আগুন ধরে গিয়েছে। শৌখিন প্রমোদতরীর অর্ধেক অংশই পুড়ে গিয়েছে। যা দেখে মনখারাপ পর্যটকদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.