সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুষারপাতের ফলে হিমাচল প্রদেশে জলবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ১,৫০০ জন পর্যটক। বুধবার রাজ্যের লাহুল ও স্পিতি উপত্যকায় ব্যাপক তুষারপতের ফলে আটকে পড়ে তারা। পর্যটকদের সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে আসার জন্য ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর।
কিছুদিন ধরেই বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ছিল কুলু, কিন্নাড়, চামবা, কাংগ্রা, বিলাসপুর, সিরামৌর, মন্ডি ও সিমলা৷ জলের তোড়ে ভেসে যায় একাধিক রাস্তা৷ টানা বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই ফুঁসতে শুরু করে হিমাচলের সমস্ত পাহাড়ি নদী৷ ফলে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক বাড়ি৷ সঙ্গে একাধিক জায়গায় নামে ধস৷ একদিকে পাহাড়ি নদীর তাণ্ডব, অন্যদিকে ধসের জেরে হিমাচল প্রদেশের সাধারণ নগরজীবন ব্যাহত হয়েছিল৷
[ ব্যাংক-সিম কার্ডে বাধ্যতামূলক নয় আধার, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের ]
তবে মঙ্গলবারের মধ্যে প্রায় ৩০০ জনকে উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল। মান্ডির আইআইটি, রুরকি, গুয়াহাটি ও মুম্বইয়ের পর্যটক ছাড়াও বিদেশি কয়েকজন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়। বুধবার সকালে আবহাওয়া ছিল অপেক্ষাকৃত ভাল। আর সেই কারণেই রাজ্য সরকারের নির্দেশে উদ্ধারকাজে নামে ভারতীয় বায়ুসেনা। মাত্র চার ঘণ্টার চেষ্টায় এয়ারলিফটের মাধ্যমে কয়েকজন পর্যটককে উদ্ধার করে আনে। কুল্লুর ডেপুটি কমিশনার ইউনাস খান জানিয়েছেন, ভারতীয় বায়ুসেনার তিনটি চপার উদ্ধারকাজে নামানো হয়। রাজ্যের তরফে ব্যবহার করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। উদ্ধার করার পর পর্যটকদের নিয়ে আসা হয় কুল্লু শহরে।
এর আগে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসেছিল হিমাচল প্রদেশ। ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গায় মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কুল্লু ও লাহুল-স্পিতি উপত্যকা। তার উপর শুরু হয় তুষারপাত। তার ফলে রোটাং পাস, লে ও লাহুলে আটকে পড়ে বেশ কয়েকজন পর্যটক। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। রোটাং পাসের মতো এলাকায় মেডিক্যাল টিমও পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
[ হিজবুলের হুমকির প্রভাব! কাশ্মীরে চার দিনে পদত্যাগ ৪০ জন পুলিশকর্মীর ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.