সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েও জেলমুক্তি হয়নি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতদেশ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে, সেটা নিয়ে এবার প্রবল আপত্তি জানালেন দিল্লির বিভিন্ন আদালতের প্রায় ১৫০ জন আইনজীবী। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে (DY Chandrachud) চিঠি লিখে জামিন বাতিলের প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
দিল্লির নিম্ন আদালতে গত ২০ জুন সন্ধ্যায় জামিন পান অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। জানা যায়, পরদিন অর্থাৎ ২১ জুন মুক্তি পাবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তবে তখনই নিম্ন আদালতের বিরোধিতা করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত দেয় ইডি। কেজরিওয়াল জেল থেকে বেরনোর আগেই ইডি আবেদন করে দিল্লি হাই কোর্টে। ইডির আবেদনের পরই উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত হয়ে যায় জামিন। দিল্লির বিভিন্ন আদালতের প্রায় ১৫০ জন আইনজীবীর দাবি, যেভাবে কেজরিওয়ালের জামিন আটকানো হয়েছে সেটা উদ্বেগজনক।
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে লেখা চিঠিতে ওই আইনজীবীরা বলছেন, “নিম্ন আদালতের রায় আপলোড হওয়ার আগেই দিল্লির হাই কোর্টের বিচারপতি সুধীর কুমার জৈন মামলাটি শুনলেন কীভাবে? যে নির্দেশ আপলোডই হল না সেটার বিরুদ্ধে তিনি মামলা গ্রহণ করলেন, শুনলেন, এমনকী স্থগিতাদেশ দিয়ে দিলেন। এটা উদ্বেগজনক।” ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, “এর আগে ভারতের বিচারবিভাগে এই ধরনের ঘটনা কোনওদিন ঘটেনি। এটা আইনজ্ঞ মহলে বড়সড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতির অভিযোগে কেজরিওয়ালকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল ইডি (ED)। সপ্তাহদুয়েক পরে তাঁকে পাঠানো হয় তিহাড় জেলে। ইডির গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। পরে সুপ্রিম নির্দেশে ২১ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান তিনি। গত ১০ মে কেজরিকে ২১ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়। অর্থাৎ ১ জুন নির্বাচনের ফল বেরনোর দিন অবধি অন্তর্বর্তী জামিন দেয় শীর্ষ আদালত। ২ জুন আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন আপ সুপ্রিমো। এখনও জেলেই রয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.