সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগেই ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। প্রতি বছরের মতো এবছরও বিশ্বজুড়ে অনেক সচেতনতার অনুষ্ঠান, সেমিনার হয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর যে দুঃখের দিন ঘনিয়ে আসছে, তার কোনও সুরাহা হয়নি। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে নদী-নালা। জল না পেয়ে সম্প্রতি মধ্যপ্রদশের একটি জঙ্গলে ১৫টি বানর মারা গেল।
মধ্যপ্রদেশের পাঞ্জাপুরা যোশী বাবা জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া ছাগল খুঁজতে গিয়েছিল একটি ছেলে। তখনই সে ওই ১৫ জন বানরকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। সেই বাইরে এসে বাকি গ্রামবাসীদের বিষয়টি জানায়। তাঁরাই বনদপ্তরে খবর পাঠায়। তৎক্ষণাৎ বনকর্মীর একটি দল জঙ্গলের উদ্দেশে রওনা দেয়। দলে ছিলেন জেলার ফরেস্ট অফিসার পি এন মিশ্র। দেওয়ারে জেলার সদর দপ্তর থেকে জায়গাটি ৬৫ কিলোমিটার দূরে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বনদপ্তর।
[ আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে প্রবল ধুলোঝড় ও বজ্রপাত, মৃত কমপক্ষে ২৬ ]
এতদিন ছিল কাঠফাটা গ্রীষ্ম। দিনের বেলা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যাচ্ছিল এলাকার তাপমাত্রা। এখন পারদ একটু নামলেও গরম যায়নি। রোদ থেকে বাঁচতে একটি গুহার ভিতরে আশ্রয় নেয় বানররা। বৃহস্পতিবার সেখান থেকে ন’টি বানরের মৃতদেহ পাওয়া যায়। শুক্রবার আরও ছ’টি দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, জলের জন্যই প্রাণ গিয়েছে বানরদের। জলের সন্ধানেই বেরিয়েছিল তারা। কিন্তু গরমের ফলে অনেক নদীই শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে জল পাওয়া যায়নি। আশঙ্কা, তৃষ্ণার্ত অবস্থায় জলের অভাবেই মৃত্যু হয়েছে তাদের।
ফরেস্ট অফিসার আরও জানিয়েছেন, এলাকায় বানরদের বড় কোনও দল থাকতে পারে। তারা সম্ভবত ছোট দলগুলোকে নদীর কাছে ঘেঁষতে দেয়নি। ফলে দুই দলের মধ্যে জলের জন্য লড়াইয়ের কথাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে জল না পাওয়ায় হিট স্ট্রোকে যে তাদের মৃত্যু হয়েছে, এমন ধারণা ক্রমশ বদ্ধমূল হচ্ছে বনদপ্তরের আধিকারিকদের মনে। তবে এখন বানরদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে বলে জানিয়েছেন বনদপ্তরের অফিসাররা।
[ আরও পড়ুন: আসছে বর্ষা, কেরলের চার জেলায় জারি রেড অ্যালার্ট ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.