সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন চিনা সেনা। আহত হয়েছেন অনেকেই। শুক্রবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন ‘National security advisory board’-এর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল নরসিমহান।
বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম ‘Times Now’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নরসিমহান সাফ বলেন, “সংঘর্ষে চিনা ফৌজের অন্তত ১৫ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তবে হেলিকপ্টার করে কত জন আহতকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে তারা, এবং কতজন সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন তা আমার জানা নেই।” নিখোঁজ ভারতীয় জওয়ানদের নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রাক্তন সেনাকর্তা জানান, “সেনার ইউনিটগুলি এই হিসাব করেছে। আমাদের সব সৈনিকের খবর পাওয়া গিয়েছে। কাউকে যুদ্ধবন্দি করে রাখা হয়নি।”
গালওয়ান উপত্যকায় গত দু’মাস ধরেই হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল চিন। সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল নরসিমহান। তাঁর কথায়, গালওয়ান উপত্যকায় ফৌজ সরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে তা করেনি লাল ফৌজ। সেজন্যই সংঘর্ষ ঘটে। তবে ভারতীয় জওয়ানরা নিজেদের কর্তব্য পালন করেছেন। কিন্তু সীমান্তে নীতিগতভাবে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা উচিত বলেও ইঙ্গিতে বউখিয়ে দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গালওয়ান উপত্যকায় ১৫ জুনের রাত আচমকা হামলা চলে চিনা হানাদার বাহিনী। দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে শহিদ হন ২০ জন জওয়ান। তারপর থেকে দু’দেশের মধ্যে তুঙ্গে পৌঁছেছে উত্তেজনা। এহেন পরিস্থিতিতে লাদাখে উত্তেজনার মধ্যেই গালওয়ান উপত্যকায় এবার যুদ্ধবিমান নামাতে শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তাহলে কি দিল্লি থেকে প্রত্যাঘাত করার সবুজ সংকেত এসে গিয়েছে? দুদিনের সফরে গিয়ে লেহ ও শ্রীনগরের বায়ুসেনা ঘাঁটি ঘুরে দেখেছেন বায়ুসেনা প্রধান কে এস ভাদুরিয়া। প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখেছেন। এরপরই শুরু হয়েছে বায়ুসেনার এই তৎপরতা। লাদাখের আকাশে শুরু হয়েছে বায়ুসেনার এয়ার ডমিন্যান্স। সকাল থেকেই চক্কর কাটছে বায়ুসেনার কপ্টার অ্যাপাচে-চিনুক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.