ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনতা কারফিউ চালু হওয়ার কয়েকঘণ্টা আগেই মাওবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে প্রবল গুলির লড়াই হল। শনিবার দুপুর থেকে চলল রবিবার ভোর পর্যন্ত। এর ফলে ১৪ জন জওয়ান গুরুতর জখম হয়েছেন। আর নিখোঁজ হন আরও ১৭ জন। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত সুকমা জেলার জঙ্গল ও পার্বত্য এলাকা এলামগুন্ডার কাসালপাডের চিন্টাগুফার কাছে। জখম নিরাপত্তা রক্ষীদের এয়ারলিফটের মাধ্যমে রায়পুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের বাড়িতে দেখা করে পরিস্থিতির বিস্তারিত বিবরণ দেন ছত্তিশগড় পুলিশের ডিজি ডিএম অবস্তি। এর পাশাপাশি সকাল থেকে তল্লাশি চালানোর পরে দুপুরে ঘটনাস্থলের কিছুটা দূর থেকে ১৭ জন নিরাপত্তারক্ষীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
Chhattisgarh CM Bhupesh Baghel visited Rama Krishna Hospital in Raipur to meet the security personnel who were injured in an encounter, in Sukma yesterday. 17 security personnel have lost their lives in the encounter. pic.twitter.com/3LDfTBgvqF
— ANI (@ANI) March 22, 2020
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে খবর আসে কাসালপাডের চিন্তাগুফার মিনপা জঙ্গলে বেশ কয়েকজন মাওবাদী লুকিয়ে আছে। এরপরই ছত্তিশগড় পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড(DRG) ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্স(STF)-এর যৌথ বাহিনীর প্রায় ২৫০ জন নিরাপত্তারক্ষী ওই এলাকায় মাওবাদী বিরোধী অভিযান শুরু করেন। দুপুর পৌনে একটা নাগাদ তাঁরা যখন চিন্তাগুফা শিবিরের কাছে ঘোরাঘুরি করছেন তখন আচমকা জঙ্গলের মধ্যে থেকে গুলি ছুঁড়তে শুরু করেন মাওবাদীরা। পালটা জবাব দেন নিরাপত্তারক্ষীরাও। ঘন ঝোপঝাড়ের আড়ালে থাকায় মাওবাদীদের ক্ষতির পরিমাণ জানা না গেলেও গুরুতর জখম হন ১৪ জন নিরাপত্তারক্ষী। নিখোঁজ ছিলেন আরও ১৭ জন। রবিবার দুপুরে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে কোবরা বাহিনীর জওয়ানরা।
এপ্রসঙ্গে সুকমা জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘চিন্তাগুফার কাছে মাওবাদী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের মধ্যে বেশ কয়েকঘণ্টা ধরে গুলির লড়াই চলে। এর ফলে জখম হওয়া ১৪ জন জওয়ানকে এয়ারলিফট করে রায়পুরের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই তল্লাশিতে অংশ নেওয়া আরও ১৭ জন জওয়ানের কোনও খোঁজ মিলছিল না। পরে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এদের মধ্যে এসটিএফের পাঁচজন ও ১২ জন ডিআরজির সদস্য ছিলেন।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.