সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমনিতেই প্রবল বৃষ্টির জেরে বিধ্বংসী আকার ধারণ করেছে মহারাষ্ট্রের বন্যা পরিস্থিতি। এর মাঝে কৃষ্ণা নদীতে ভয়াবহ নৌকাডুবির জেরে মৃত্যু হল কমপক্ষে ১৪ জনের। বৃহস্পতিবার সকালে
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সাংগিল জেলার পালুস তালুকার বারমনাল গ্রামে। মৃতদের মধ্যে চারটি শিশু ও আটজন মহিলা রয়েছে জানা গিয়েছে। নিখোঁজ দু’জনের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন একটি নৌকার সাহায্যে বারমনাল গ্রাম থেকে বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার করা হচ্ছিল। প্রায় ৩২ জনকে নিয়ে নিরাপদে স্থানে যাওয়ার আগেই কৃষ্ণা নদীতে উলটে যায় নৌকাটি। এর মধ্যে কিছু মানুষ সাঁতার কেটে নদীর পারে উঠতে সমর্থ হলেও বাকিরা নদীতে তলিয়ে যান।
প্রশাসন সূত্রে খবর, নৌকাটিতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছিল। পাশাপাশি কারও কাছে লাইফ জ্যাকেট ছিল না। খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন এনডিআরএফ-এর সদস্যরা। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ কোলাপুর ও সাংগিল জেলায় গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। নৌকাডুবির খবর পেয়ে তড়িঘড়ি দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি।
অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত বন্যার জেরে রাজ্যে প্রায় ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে পুণেতে ৪, সাতারায় ৯, কোলাপুরে দু’জন ও সাংগিলে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় একলক্ষ ৪০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া। সোলাপুর, সাংগিল, কোলাপুর ও পুণে জেলা থেকে ওই বন্যাদুর্গতদের নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বৃষ্টির জন্য কোলাপুর জেলায় সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। পুণে জেলার তিনটি ও সাংগিল জেলার চারটি তালুকায় চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন সেখানে প্রবল বৃষ্টি হবে বলেও সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কবার্তার পর পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলার জন্য তৈরি রয়েছে প্রশাসন। উদ্ধারকাজের জন্য বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের থেকে প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে সেনা, নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.