সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে কতজন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে৷ আর এই প্রশ্নকে হাতিয়ার করেই এখন শাসকদল বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে বিরোধীরা৷ তবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পালটা আক্রমণের পথেই হাঁটছেন৷ বিরোধীদের জঙ্গি মৃত্যুর প্রমাণ চাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে মোদি বললেন, ‘১৩০ কোটি ভারতবাসী আমার প্রমাণ’৷ অভিযোগ করলেন, বিরোধীদের মন্তব্যগুলিকে আত্মরক্ষার্থে ব্যবহার করছে পাকিস্তান৷ বিরোধীদের বক্তব্য পাকিস্তানকে সাহায্য করছে৷
[৩-৪ দিনে হতে পারে পুলওয়ামার পুনরাবৃত্তি, গোয়েন্দা রিপোর্টে তুঙ্গে চাঞ্চল্য]
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফের ঐক্যের পরিবেশ রক্ষার উপর গুরুত্বের বার্তা দিলেন। উত্তরপ্রদেশে দুই কাশ্মীরি ব্যাবসায়ী হেনস্তার খবর সামনে আসতেই দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অস্বস্তিতে কেন্দ্রের শাসক দলও। কারণ, এবার ঘটনাটি ঘটেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যে। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, দেশে সংহতির বাতাবরণ রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। প্রধানমন্ত্রী এদিন বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির করিডরের শিলান্যাস করেন। তিনি বলেন, “বিশ্বনাথ ধামের এই প্রকল্প দীর্ঘদিন আমার চিন্তায় ছিল। সক্রিয় রাজনীতিতে আসার আগে থেকে আমি কাশী আসছি। তখন থেকে আমি মনে করি যে এই মন্দির কমপ্লেক্সের জন্য কিছু করতে হবে। ভোলা বাবার আশীর্বাদে আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।” তিনি কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে প্রার্থনাও করেন। এদিন কানপুরে প্রধানমন্ত্রী মোদি একগুচ্ছ কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী এদিন পাকিস্তানকে আক্রমণ করে বলেন, প্রতিবেশী দেশকে সন্ত্রাসের কাজে হাতনাতে ধরা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী তাদের সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু এদেশের বিরোধীদের মন্তব্য ভারতের বিরুদ্ধে প্রচারে পাকিস্তান ব্যবহার করছে। তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু মানুষ আমাদের বাহিনীকে খাটো করছে। কিন্তু বাহিনী সম্পর্কে এই ভাষা শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদীদের সহানুভূতি পেতেই সাহায্য করবে।
[বিজেপি-র রোষে জেলে মণিপুরী সাংবাদিক, আমূল বদল স্ত্রী-র জীবনে ]
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবারই উত্তরপ্রদেশের কানপুরে যান প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানে একটি সমাবেশে তিনি বলেন, “দেশে সংহতির পরিবেশ থাকাটা জরুরি…লখনউয়ে কয়েকজন উন্মাদ আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের সঙ্গে যা ঘটিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার তা তৎক্ষণাৎ তদন্ত করেছে।” রাজ্য প্রশাসন ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ও অ্যাকাউন্টে তারা বিজেপির সঙ্গে তাদের সম্পর্কের দাবি করলেও, বিজেপি তা অস্বীকার করেছে। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী মোদি কাশ্মীরিদের উপর হামলার নিন্দা করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.