সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্যা কবলিত দেশের উত্তর পূর্ব। ভাসছে মণিপুর, মিজোরাম, অসমের বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতিমধ্যে বন্যায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জলের নিচে দক্ষিণ আসামের বরাক উপত্যকার হাইলাকান্ডি জেলা। রাজ্যের লখিপুর, শোনিতপুর, করিমগঞ্জ-সহ পাঁচটি জেলায় বন্যা সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। গুয়াহাটি পুরোপুরি জলমগ্ন, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ। বুধবার তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং গত দুদিনে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। কামরূপ, নবীন নগরের মতো এলাকায় কোমর সমান জল রয়েছে।
প্রতি বছরই এই সব এলাকায় জলবন্দি হয়ে থাকতে হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। যদিও প্রশাসন সূত্রে খবর গত ১৭ বছর ধরে কমপক্ষে ২১৬ কোটি ব্যয় করা হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। উন্নত করা হয়েছে নিকাশি ব্যবস্থা। কিন্তু ভারি বৃষ্টির মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি।
একই পরিস্থিতি মণিপুরেও। নাম্বল ও ইম্ফলে নদীগুলিতে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। বেশ কয়েকটি নদীতে জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। লাগাতার ধসে গোটা দেশের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মিজোরাম। বহুতল ভেঙে লাঙ্গলেই জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শুধু গুয়াহাটিতেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১০৫.৭ মিলিমিটার। অন্যান্য এলাকা থেকেও ভারি বর্ষণের খবর মিলেছে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি কমলেও, উচুঁ পার্বত্য এলাকা থেকে জমা জল নামছে প্লাবিত এলাকায়। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
উত্তর পূর্বের বন্যা পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রেখেছে কেন্দ্র, যাবতীয় সাহায্যের জন্য তৈরি রয়েছে সরকার বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.