সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একা করোনায় রক্ষে নেই, ছাঁটাই দোসর! বিশ্বব্যাপী অতিমারি করোনার ছোবল শুধু প্রাণঘাতীই নয়, কর্মনাশাও বটে এবার তার প্রমাণ পাচ্ছেন সবাই হাড়ে হাড়ে। কিছুদিন আগেই বিশ্ব ব্যাংক রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, ভারতে ৪ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক লকডাউনের জেরে বিপর্যস্ত হবেন। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন জানিয়েছে, বিশ্বের ১৬০ কোটি মানুষের রুজি-রুটিতে কোপ পড়তে পারে। এবার রাষ্ট্রসংঘের আশঙ্কা প্রকাশ, লকডাউনের জেরে শুধু ভারতেই কাজ হারাতে পারেন ১৩ কোটি মানুষ। যার মধ্যে খুচরো ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ১ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ ছাঁটাই হতে পারেন।
এই আশা-আশঙ্কার দোলাচলের মধ্যেই মুম্বইয়ের মুলুন্দের এক ব্যক্তি বেতনে কোপ পড়ায় আত্মঘাতী হয়েছেন বলে খবর। একটি বহুজাতিক সংস্থার কর্মী মনীশ লোডায়া। লকডাউনের জেরে সংস্থা কর্মীদের বেতন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেয়। যা মেনে নিতে না পেরে মুলুন্দের ৩০ তলা বিল্ডিং থেকে মরণঝাঁপ দেন। এই একটি উদাহরণই যথেষ্ট ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে তার পূর্বাভাসের জন্য। লকডাউনের জেরে বন্ধ একাধিক কলকারখানা, অফিস, ব্যবসা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলিতে সবচেয়ে বেশি কোপ পড়বে। অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা ব্যাপক ধাক্কা খাবেন এমন আশঙ্কা ছিলই। এবার রাষ্ট্রসংঘের আশঙ্কায় কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও গভীর হচ্ছে চাকুরিজীবীদের।
প্রসঙ্গত, মহামারির জেরে মড়ক লেগেছে বিশ্বে। উপরন্তু অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও টালমাটাল। বন্ধ উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি। তলানিতে ঠেকেছে চাহিদাও। কাজ হারিয়ে ঘরে ফিরতে হয়েছে লক্ষ-লক্ষ ঠিকা শ্রমিককে। এরফলে এক ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যা বিশ্বের অর্থনীতির উপর তীব্র প্রভাব ফেলতে পারে। মরার উপর খাঁড়ার ঘা হতে চলেছে বেকারত্ব। আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (ILO) বলছে, করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে ৩৩০ কোটি মানুষ কাজ হারাতে পারেন। দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে যেতে পারেন অন্তত ৪০ কোটি ভারতীয়। তাঁদের আশঙ্কা, ২০০৮-২০০৯ সালের আর্থিক সংকটের চেয়ে ভয়ানক পরিস্থিতি হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.